মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

মশক নিধন তদারকিতে ওয়ার্ড কমিটি

জয়শ্রী ভাদুড়ী

মশক নিধন তদারকিতে ওয়ার্ড কমিটি

‘উত্তর সিটি করপোরেশনে মশক নিধন কার্যক্রম সঠিকভাবে হয় না’ এমন অভিযোগ বেশ পুরাতন। সেই অভিযোগ আমলে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। এবার মশক নিধন কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকি করতে বিশেষ ওয়ার্ড কমিটি গঠন করবে ডিএনসিসি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ‘শহরের কোনো স্থানে মশার ওষুধ ছিটানো হয় না’ উত্তর সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। নিয়মিত ময়লা ও ড্রেন পরিষ্কার না করায় মশা বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার উৎপাতে অনেক এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, এলাকাবাসীর অভিযোগগুলো গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে। এজন্য উত্তর সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। মশক নিধনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা তা তদারকি করবে বিশেষ কমিটি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে মশক নিধনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে কমিটি। তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে এই উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি। চলতি বর্ষায় প্রতিটি ওয়ার্ডে সাত সদস্যের এ বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, ‘সঠিকভাবে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া কমিটিতে এলাকার সমাজসেবক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, মসজিদ, মাদ্রাসার প্রধান ইমাম বা খতিব, এলাকায় বসবাসকারী সরকারি কর্মকর্তাসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা থাকবেন। ওই কমিটি নিজের এলাকায় মশক নিধনে কাজ করবে ও নানা সুপারিশ করবে। এসব সুপারিশ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখা বিশেষ বিবেচনায় বাস্তবায়ন করবে। এ ছাড়া কোন মশক নিধনকর্মী ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না- এমন অভিযোগ এলে তাও তদন্ত করবে ওই কমিটি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে মশক নিধন কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষা আসলে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাটে পানি জমে থাকে। এতে মশার বংশবিস্তার সহজ হয়ে যায়। ডেঙ্গুজ্বর বেড়ে যায়। এজন্য এ সময়ে বেশি সচেতনতা প্রয়োজন। মশা নিধনে ডিএনসিসি যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমের পাশাপাশি সবাই যদি সচেতন না হয় তাহলে তা ফলপ্রসূ হবে না। কোনাকাঞ্চিতে পানি জমে থাকলে দুদিন যেতে না যেতেই আবার মশার উৎপাত শুরু হবে। তাই ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি এসব ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা উত্তর এলাকার মশা নিধনে আমরা সব সময়ই কাজ করছি। জনসচেতনতা সৃষ্টি করে বর্তমানে আমরা মশা উৎপাদনের স্থান চিহ্নিত করে সেসব স্থানে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। এর পরও দীর্ঘদিন মশক নিধনকর্মীরা মশার ওষুধ নিয়মিত ছিটায় না- এমন অভিযোগ রয়েছে। এবার এই অভিযোগ পুরোপুরি বন্ধে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর