মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

অপরিচ্ছন্ন জারে ফিলটারবিহীন পানি

আফজাল, টঙ্গী

অপরিচ্ছন্ন জারে ফিলটারবিহীন পানি

গাজীপুরে অসাধু পানি ব্যবসায়ীরা সাল্পাই ও ডিপের পানি পিউরিফাইড না করে সরাসরি জারে করে সরবরাহ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এতে করে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ছোট বড় সব বয়সী মানুষ। বিশুদ্ধ পানির আড়ালে এসব কী হচ্ছে তা দেখার কেউ নেই। পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে নেই পরিবেশ ছাড়পত্র, নেই বিএসটিআইর অনুমোদন, নেই পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ল্যাব, নেই পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিএসটিআই কর্তৃক বেঁধে দেওয়া নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে  দেদার চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন এলাকা, গাজীপুরের টঙ্গী ৪৭ নং ওয়ার্ড শিলমুন, বড় দেওড়া, সাতাইশ, বড়বাড়ি,  বোর্ডবাজার, জয়দেবপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা অসাধু পানি ব্যবসায়ীরা সাপলাই ও ডিপের পানি ফিউরিফাইড না করে সরাসরি জারে করে সরবরাহ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, হোটেলে কিংবা চায়ের দোকানে প্রতি গ্লাস পানি কিনে খাচ্ছি। অথচ আমরা অপরিচ্ছন্ন ময়লাবাহী এই জারে ফিলটারবিহীন পানি পান করে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছি প্রতিনিয়ত। চিকিৎসরা বলছেন, আমরা যেসব পানি কিনে খাচ্ছি তার বেশিরভাগ পানিই শতভাগ ফিউরিফাইড নয়। এ ব্যাপারে উত্তরা ও টঙ্গী শিলমুন এলাকায় অবস্থিত সাকুরা ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানার মালিক সোহেল মোল্লা বলেন, কারখানায় আমরা ২৪ ঘণ্টা থাকতে পারি না, ফলে যারা কাজ করছে তারা তাড়াহুড়া করে সরাসরি দিচ্ছে। এটা ঠিক হয়ে যাবে। আমি কারখানায় বলে দিচ্ছি। উল্লেখ্য, এসব বিপজ্জনক পানি হোটেলে, চায়ের দোকানে ও ফুটপাথের অন্যান্য দোকানে বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ন কবির বলেন, যে সব প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই ও পরিবেশ অধিদফতরের নিয়মনীতি মানছে না, সেসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এমনকি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনো খাবার পরিবেশন করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর