মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিল্পকলা একাডেমি পরিত্যক্ত বাড়ি!

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

শিল্পকলা একাডেমি পরিত্যক্ত বাড়ি!

কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি ১৪ মাস ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। বিদ্যুৎ না থাকায় শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম বন্ধ রয়েছে। শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব প্রোগ্রামগুলো করতে হচ্ছে অন্য ভেন্যুতে গিয়ে। এদিকে সরকার অডিটোরিয়ামের ভাড়া থেকে পাওয়া রাজস্ব হারাচ্ছে। ২০১৮ সালের ৩১ মে বজ্রপাতে শিল্পকলার নিজস্ব ট্রান্সফরমারটি বিকল হয়ে যায়। এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগও শিল্পকলার কাছে ৩৪ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল পাওনা রয়েছে। কার্যক্রম না থাকায় অডিটোরিয়াম পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিণত হচ্ছে।

সংস্কৃতিকর্মীদের সূত্র জানায়, বিদ্যুতের সিঙ্গেল লাইন দিয়ে অফিসের কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে অডিটোরিয়ামে এসি এবং অন্যান্য লাইটিংয়ে হেভি বিদ্যুতের প্রয়োজন। শিল্পকলার বাজেট নামমাত্র। নিজস্ব উল্লেখযোগ্য আয় বলতে অডিটোরিয়াম ভাড়া। তা বন্ধ থাকায় সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আয়োজনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

এছাড়া এখানে অফিস সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, সাউন্ড অপারেটর ও ক্লিনারের সংকট রয়েছে। এদিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার, বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার স্থাপন ও পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লা  জেলা সার্কিট হাউস ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন সংস্কৃতিকর্মীরা। মানববন্ধনে জেলার সর্বস্তরের শতাধিক সংস্কৃতিকর্মী অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহজাহান চৌধুরী, সম্মিলিত নাট্য জোটের সভাপতি মাহফুজুর রহমান বাবুল প্রমুখ। সাংস্কৃতিক সংগঠক নিজাম উদ্দিন রাব্বী বলেন, কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। কুমিল্লার মতো বড় জেলায় এই অচলাবস্থা  মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বিদ্যুৎ সংকটসহ অন্যান্য সংকটের দ্রুত সমাধান চাই।

জেলা কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ বলেন, কুমিল্লা বৃহত্তর জেলা শহর। এখানে অর্ধশতাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। বিদ্যুৎ সংকট ছাড়াও আমাদের নানা সংকটের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। মাননীয় সংস্কৃতিমন্ত্রীর আশ্বাসে মঞ্চের সংস্কার করেছি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে মঞ্চের সংস্কারে ব্যয় হয় ১৪ লাখ টাকা। টাকাগুলো এখনো পাওয়া যায়নি। ঠিকাদার বকেয়া টাকার জন্য বার বার তাগাদা দিচ্ছে। এদিকে অডিটোরিয়াম বন্ধ থাকায় আয় নেই, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পর্যাপ্ত পরিমাণে করতে পারছি না। এছাড়া এখানে জনবল সংকটসহ প্রশিক্ষণ কক্ষ, মহড়া কক্ষ, সেমিনার কক্ষ ও আর্ট গ্যালারিরও সংকট রয়েছে।

সর্বশেষ খবর