মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

পার্কিংয়ের জায়গায় দোকান!

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

পার্কিংয়ের জায়গায় দোকান!

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মালিকানাধীন শাহ্ আমানত সিটি  করপোরেশন সুপার মার্কেটটির সামনে নগরের বৃহত্তম খুচরা ও পাইকারি রিয়াজুদ্দিন বাজার, এর পাশেই আছে জুবিলী রোড। মার্কেটের বিপরীতেই আছে চসিক পরিচালিত দুটি নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইলেক্ট্রিক পণ্যের মার্কেট। এ মার্কেটের দক্ষিণেই আছে ব্যস্ততম হকার মার্কেট ও নিউমার্কেট। এসব বিপণিকেন্দ্রে প্রতিনিয়তই চলে বিকিকিনি। কিন্তু এমন ব্যস্ততম এলাকার চসিক শাহ্ আমানত সুপার মার্কেটের নিচতলার পার্কিংয়ে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। আয় বাড়াতে চসিক এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়।

তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ব্যাপক ব্যস্ত এ বাণিজ্যিক এলাকার অনেক গাড়ি এ পার্কিংয়ে রাখা হয়। আগে নিচতলায় প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেল রাখার সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন দোকান নির্মাণ শেষ হলে সর্বোচ্চ ৩৫০টি পর্যন্ত গাড়ি রাখা সম্ভব হবে। ফলে দোকান তৈরি হওয়ায় সড়কে যানজট তীব্র আকার ধারণ করার শঙ্কা রয়েছে। পক্ষান্তরে এই এলাকায় শাহ্ আমানত সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট ও গোলাম রসুল মার্কেটে পার্কিং ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে শাহ্ আমানত সুপার মার্কেটের পার্কিং সংকুচিত করে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।    

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, ‘পার্কিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান রেখেই দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যে স্থানে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে আগে গাড়ি রাখা হতো না। ফলে এখানে দোকান নির্মাণে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’ যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই মার্কেটে যে গাড়ি আসবে তা রাখার মতো স্থান সেখানে থাকবে। তাই এখানে কোনো সমস্যা হবে না।’ চসিকের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশন সুপার মার্কেটের নিচতলার ২ হাজার ২৫০ বর্গফুট জায়গা ৯ কোটি ৫২ লাখ টাকায় একটি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা নিজ উদ্যোগে দোকান নির্মাণ করবে। প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা হারে চসিককে ভাড়া  দেবে। গত ১৫ মার্চ মার্কেটের নিচতলা ও দোতলার খালি জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে খালি জায়গায় আটটি দোকানের জন্য ইটের দেয়াল নির্মাণ করেছে।     

জানা যায়, ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অনুমোদন ছাড়া চারতলার এই বিপণিবিতান নির্মাণ করা হয়। এ মার্কেটে কম্পিউটার, টেলিভিশন, বৈদ্যুতিকপাখা, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর প্রায় ২৫০ দোকান রয়েছে। পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহসভাপতি প্রকৌশলী সুভাষ  বড়ুয়া বলেন, ‘সিডিএ’র অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ এবং গাড়ি রাখার জায়গায় দোকান নির্মাণ দুটিই অপরাধ। নগরীর যানজট কমাতে প্রতিটি ভবনে প্রয়োজনীয় পার্কিং স্পেস রাখার নিয়ম আছে। চসিকের উচিত এ আইন বাস্তবায়নে সিডিএসহ সবাইকে সহযোগিতা করা।’

সর্বশেষ খবর