মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোটি টাকার রাইড অচল

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

কোটি টাকার রাইড অচল

ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ‘মোটর কার’। প্রজাপতির পাখা দুটি ভাঙা। আগে শিশুরা এই প্রজাপতির পিঠে বসে দোল দিত। আর প্রজাপতি পাখা দোলাত। এখন এই প্রজাপতির পিঠে ঠিকমতো বসাই যাচ্ছে না। সম্প্রতি রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেল।

এই চিড়িয়াখানায় শিশুদের বিনামূল্যে বিনোদনের জন্য ২০১৩ সালে কর্তৃপক্ষ পাঁচ সেট রাইড কিনেছিল। তাতে ৪০-৫০ জন শিশু একসঙ্গে খেলতে পারত। দাম পড়েছিল ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ছিল স্লিপার, মোটর কার, প্রজাপতি, দোলনা ও আরও কিছু অযান্ত্রিক রাইড। পাঁচ বছর না ঘুরতেই এই রাইডগুলো ভেঙে এখন বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। কিন্তু শিশুদের মন মানে না। তারা এই ভাঙা রাইডেই গিয়ে বসছে। শিশুদের জন্য উন্মুক্ত বিনোদন রাইডগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। দোলনার স্ট্যান্ড আছে। কিন্তু এক পাশের দোলনায় বসার জায়গাটি খোয়া গেছে। অপর পাশের দোলনায় বসার অর্ধেক জায়গা আছে। ওইটুকুতে বসার জন্যই শিশুদের ভিড় দেখা গেল। প্রজাপতির পাশে একটি মোটর কার আছে। সেটির নিচে ¯িপ্রং লাগানো। শিশুরা তাতে উঠে দোল দিলেই গাড়িটি দুলতে থাকে। এখন ¯িপ্রং ঠিক থাকলেও গাড়িটি ভেঙে গেছে। এতে ওঠাই বিপজ্জনক। যে স্লিপারে উঠে শিশুরা নিচে নেমে আসত, সেটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে। তবে এমনভাবে ভেঙেছে যে, ওপরে উঠে নিচে নামতে গেলে শিশুদের জখম হতে হবে। তাই নিচে নামতে না পারলেও সিঁড়ি দিয়ে শিশুরা ওপরে উঠে বসে থাকছে। এক দর্শনার্থী বলেন, ২৫ টাকার টিকিট কেটে ঢুকে বাচ্চাটার ভালো লাগার মতো কিছুই পেলাম না। রাজশাহী কলেজের ছাত্র আলম শাহীন এসেছেন তার ভাগনিকে নিয়ে ঘুরতে। তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই আমার ভাগনি একটি রাইড থেকে পড়ে গিয়েছিল। ব্যথা পেয়েছে। মোহনপুর থেকে দুই বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে এসেছেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, এখানে তো খেলার কিছুই নেই। সব ভাঙা। রাইডগুলো ভালো থাকলে বাচ্চারা মজা করতে পারত। সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, ‘এই রাইডগুলো দ্রুত ঠিক করে ফেলবেন। এখানে সংস্কার কাজ চলছে। ধারাবাহিকভাবে সবগুলোর সংস্কার ও উন্নয়ন করা হবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর