মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বৃষ্টি হলেই পানি, রোদ উঠলে ধুলা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

বৃষ্টি হলেই পানি, রোদ উঠলে ধুলা

সিলেট মহানগরীর সড়কগুলো এখন বেহাল। খানাখন্দে ভরে আছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। এসব ভাঙাচোরা সড়কে রোদ উঠলেই ধুলা ওড়ে, আর বৃষ্টি হলেই গর্তে জমে পানি। ফলে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে নগরীর বিভিন্ন সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। এগুলোর কাজ শেষ হলেই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে। নগর ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর সিংহভাগ সড়কই এখন খানাখন্দে ভরপুর। কার্পেটিং ওঠে গিয়ে সড়কের মধ্যে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর অন্তত ২০-২৫টি সড়কে চলাচল করতে গিয়ে এখন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। নগরীর জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, সুবিদবাজার, পাঠানটুলা, সোবহানীঘাট, দাঁড়িয়াপাড়া, মহাজনপট্টি, শিবগঞ্জ, মীরাবাজার, জেল রোড, দরগাহ গেট, চালিবন্দর, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, উপশহর, জামতলা প্রভৃতি এলাকার সড়কগুলোর অবস্থা এখন শোচনীয়। সড়কের পিচঢালাই ওঠে গিয়ে অনেক স্থানে পাথরের খোয়া বেরিয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক সড়কের স্থানে স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় আকারের গর্ত। বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলে। অন্যদিকে রোদ থাকলে এসব ভাঙাচোরা সড়ক ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়। তখন চলাচল করতে গিয়ে নগরবাসীকে ধুলায় মাখামাখি হয়ে ঘরে ফিরতে হয়। নগরবাসী বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নগরীর সড়কগুলো সংস্কার করা হয়নি। ফলে দিন দিন পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে ওঠেছে। নগরীর চালিবন্দরের খোকন দেবনাথ বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু সড়ক সংস্কারের দিকে তাদের মনোযোগ নেই।’ সুবিদবাজারের রায়হান আহমদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। সড়কে চলতে গিয়ে গর্তে যখন গাড়ি পড়ে, তখন যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’ মীরাবাজারের ইমরান আহমদ বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই ভাঙাচোরা সড়কে পানি জমে। তখন হাঁটা দায় হয়ে পড়ে। আবার রোদ থাকলে ধুলার কারণে হাঁটা যায় না।’ সড়ক সংস্কার প্রসঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বৃষ্টি থাকায় কিছুদিন সংস্কার কাজ করা যায়নি। এখন বৃষ্টি থেমেছে, আমাদের সংস্কার কাজও পুরোদমে শুরু হবে।’

সর্বশেষ খবর