মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুতের তার

রেজাউল করিম মানিক, রংপুর

বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুতের তার

রংপুর মহানগরীর পূর্ব পীরজাবাদ এলাকায় বিদ্যুতের পিলার হিসেবে শত শত বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। একেকটি বাঁশের খুঁটির সঙ্গে ঝুলে আছে অসংখ্য বিদ্যুতের তার। অনেক স্থানে বাঁশের খুঁটি ভেঙে গিয়ে বিদ্যুতের তার মাটিতে পড়ে রয়েছে। বিষয়টি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের কোনো নজরদারি নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন অবৈধ হলেও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন অর্থের বিনিময়ে এসব সংযোগ দিয়ে রেখেছেন। যে যার মতো বাঁশের খুঁটি পুঁতে মূল লাইন থেকে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এসে মাঝে মাঝে টাকা-পয়সা নিয়ে যান। এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন শতাধিক পরিবার। পীরজাবাদ ডাঙ্গীরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মনি বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি নেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কয়েক দফা টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খুঁটি আসেনি। বাধ্য হয়ে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছি। একই এলাকার বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান জানান, প্রতিটি খুঁটির জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ছয় হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা খুঁটির ব্যবস্থা করেনি। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বাঁশের খুঁটি ভেঙে গিয়ে বিদ্যুতের তার জমিতে পড়ে রয়েছে। বিষয়টি অনেকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। রংপুর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদা বেগম বেবি জানান, কয়েক বছর আগে এখানে বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নেসকো-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম জানান, বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুতের সংযোগ সম্পূর্ণ অবৈধ। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চলমান প্রজেক্টের আওতায় বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করছে। যদি কোনো স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি না থাকে তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে চলমান প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নেসকো-২ এর সহকারী প্রকৌশলী বজলুর রহমান জানান, পল্লী বিদ্যুতের এলাকা বাদ দিয়ে নেসকো-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক চিহ্নিত করে দিলে সেখানে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করা হবে। খুঁটি প্রতি ৬ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের এক শ্রেণির ঠিকাদার এই কাজটি করে থাকেন। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

সর্বশেষ খবর