মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কোমলমতি শিশুরা

আফজাল, টঙ্গী

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কোমলমতি শিশুরা

নগরজুড়ে শিশুরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সড়ক ও মহাসড়কে গাড়ি চালকের কাজ করছে। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে  রেহাই পেতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কারখানা কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিকরা অল্প বেতনে শিশুদের কাজে নিচ্ছেন এবং ঝুঁকিতে ও নামমাত্র মজুরি দিয়ে কাজ করাচ্ছেন।

 

গাজীপুরের বিভিন্ন কলকারখানায় ঝুঁকিতে কাজ করছে শিশুরা। কলকারখানা অধিদফতরের নিয়মনীতি ও শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করে কারখানা মালিকরা স্বল্প  বেতনে শিশুদের দিয়ে কারখানায় কাজ করাচ্ছেন। এসব কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন শিশু শ্রম বাড়ছে। ছোট ছোট শিশুরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে কারখানায় কাজে ঝুঁকছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন কলকারখানায় ঝুঁকিতে কাজ করছে শিশুরা।

এর মধ্যে বেকারি কারখানা, আইসক্রিম, আরিচপুর নদীবন্দর এলাকায় সিলভারের তৈরি পাতিল কারখানা, টঙ্গীর বনমালা বঙ্গ-সি লিচু কারখানা, নিটিং কারখানা, ওয়াশিং কারখানাসহ শত শত কারখানায় শিশুরা কাজ করছে। এ ছাড়া নগরজুড়ে শিশুরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সড়ক ও মহাসড়কে গাড়ি চালকের কাজ করছে। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে রেহাই পেতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কারখানা কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিকরা অল্প বেতনে শিশুদের কাজে নিচ্ছেন এবং ঝুঁকিতে ও নামমাত্র মজুরি দিয়ে কাজ করাচ্ছেন।

এ বিষয়টি কলকারখানা অধিদফতর কর্তৃপক্ষ জেনেও না জানার ভান করছেন । টঙ্গীর শিশু কর্মী নিযুক্ত একটি কারখানার এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের এখানে কয়েকজন আছে তবে ওরা একেবারে শিশু নয়। এলাকার লোকজন কারখানার সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। চাকরি না দিয়েও পারি না।

এ ব্যাপারে টঙ্গী কলকারখানা অধিদফতরের কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার দাসের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ১২ বছরের নিচে শিশুরা কাজ করতে পারবে না। যাদের বয়স এর বেশি তারা কারখানায় কাজ করতে পারবে। তবে তাদের ক্ষেত্রে ওয়ার্কিং আওয়ার কম হবে। এ নিয়ম না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিশুদের গাড়ি চালনায় নিযুক্তির বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক দক্ষিণের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার থোয়াই অংপ্রু মারমা বলেন, আমরা একটা তালিকা করছি, যাদের লাইসেন্স নাই তারা গাড়ি চালাতে পারবে না। তখন এমনিতেই শিশুরা বাদ পড়ে যাবে। সব সময় আমরা এর বিপক্ষে। অদক্ষ শিশুরা সড়কে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনার প্রকোপ বাড়বে।

 

সর্বশেষ খবর