মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চসিকের অবহেলায় নাগরিক দুর্ভোগ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চসিকের অবহেলায় নাগরিক দুর্ভোগ

যদি একটু সতর্ক, সচেতন, পরিকল্পনা এবং নাগরিকদের ভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে কাজ করে, তাহলে নগরবাসীর দুর্ভোগ আর ভোগান্তি অনেকাংশে কম হতো

 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের বিভিন্ন এলাকার সড়ক-উপসড়ক, নালা-নর্দমা, ড্রেন সংস্কার এবং উন্নয়ন কাজ করছে। সঙ্গে আছে ফুটপাথ এবং আইল্যান্ড সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও। কিন্তু এসব কাজে চসিকের দায়িত্বশীলদের অপরিকল্পনা, অসচেতনতা এবং অবহেলা-অযতেœর অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে নগরবাসীকে প্রতিনিয়তই চরম আকারে ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।    

ভুক্তভোগী নগরবাসীর অভিযোগ, চসিক নগর উন্নয়নের প্রধান সংস্থা। কিন্তু তারা যদি একটু সতর্ক, সচেতন, পরিকল্পনা এবং নাগরিকদের ভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে কাজ করে, তাহলে নগরবাসীর দুর্ভোগ আর ভোগান্তি অনেকাংশে কম হতো। তবে বাস্তবতা হলো- একটি ব্যস্ততম সড়ক খুঁড়েই ফেলে চলে যায় কয়েক সপ্তাহ। এরপর সেখানে উন্নয়ন উপকরণ ফেলে চলে যায় আরও কিছুদিন। এর পরই ঢিমেতালে চলে উন্নয়নকাজ। কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চসিকের প্রধান পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, সৌন্দর্যবর্ধন কাজ করার সময় সড়ক ও ফুটপাথে মাটি-আবর্জনা ফেলে না রাখার জন্য বলা আছে। তবুও কাজের সময় যদি একান্তই রাখতে হয়, তাহলে দ্রুত তা সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া আছে। হয়তো শ্রমিকদের অসতর্কতার কারণে কোনো কোনো স্থানে তা রেখে দেওয়া হয়। এটা ঠিক না। এতে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা থাকে। 

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী বলেন, নগরের কয়েকটি স্থানে সড়কের ওপর ডাস্টবিন আছে। এসব সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা আছে। কারণ পর্যায়ক্রমে নগরের সব খোলা ডাস্টবিন সরিয়ে ফেলা হবে। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নগরের ব্যস্ততম বক্সিবিট মোড়ে অন্তত ১৫ দিন ধরে পড়ে ছিল নালা-ড্রেন সংস্কারের

পাথরগুলো।

এসব পাথরের ওপরই হেঁটে যেতে হয়েছে পথচারীদের। প্রায় ২০ দিন পর পাথরগুলো ব্যবহারের জন্য নেওয়া হয়। নগরের সিরাজুদ্দৌলা রোডের চন্দনপুরা অংশে একপাশের কালভার্ট তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় এক বছর। ওই কালভার্টের অপর অংশের কাজ শুরু হয় গত প্রায় দুই মাস আগে। ফলে এ অংশের এক পাশ এখন বন্ধ। নগরের অলি খাঁ মসজিদ এবং কাপাসগোলা মোড়ের মধ্যবর্তী স্থানের মূল সড়কের ওপরই একটি ডাস্টবিন। সড়কের এ অংশটি বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। ফলে ব্যস্ততম সড়কটিতে দীর্ঘায়িত হচ্ছে যানজট। অন্যদিকে নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পাশের সড়কে সৌন্দর্যবর্ধন কাজের মাটি রাখা হয় সড়কেই। নিউ মার্কেট সংলগ্ন সড়কের ফুটপাথ সৌন্দর্যবর্ধন কাজের কারণে বন্ধ রাখা হয়। এভাবে নগরের বিভিন্ন সড়ক-ফুটপাথে সৌন্দর্যবর্ধন কাজের সময় সড়কের ওপরই ফেলে রাখা হয় মাটি ও উন্নয়ন উপকরণ। ফলে ভোগান্তি সঙ্গী হয় পথচারী এবং যানবাহনের। এ ব্যাপারে চসিক নাগরিক ভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করলে মানুষের কষ্ট আরও কম হতো বলে তারা মনে করছেন।

সর্বশেষ খবর