শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ড্রেন নির্মাণের একি হাল!

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

ড্রেন নির্মাণের একি হাল!

রাজশাহী নগরীর ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নয়নে ও জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডের ড্রেনগুলো সংস্কারের পাশাপাশি নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। এরই ধারাবাহিকতায় নগরীজুড়ে চলছে ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ। কিন্তু মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শুরুতেই। কোথাও জমে থাকা পানির মধ্যে চলছে ঢালাই কাজ। আবার কোথাও ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসার রোড সংলগ্ন রামচন্দ্রপুর এলাকার ড্রেনগুলোও সংস্কার করা হচ্ছে। তবে নির্মাণাধীন ড্রেনের মধ্যে হাঁটুপানি জমে থাকা অবস্থায়ই সেই ড্রেনে ঢালাই (কংক্রিট) দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে এই ড্রেনের কাজের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

নগরীর বহরমপুর এলাকায় ড্রেন নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট। ড্রেনের ঢালাইয়ের জন্য যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে তা খুবই নিম্নমানের। ইটের সঙ্গে রাবিশ মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঢালাই।

সূত্রমতে, নগরীর বিভিন্ন রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের জন্য কাজ দেওয়া হয়েছে মীর আক্তার গ্রুপের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। তবে রামচন্দ্রপুর এলাকার ড্রেন নির্মাণ করার জন্য মীর আক্তারের এই প্রতিষ্ঠানটি কাজটি সাবকন্টাক্ট দিয়েছে জসিম নামের এক স্থানীয় যুবককে। তার তত্ত্বাবধানেই এই এলাকার ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। বিষয়টি জসিম নিজেও স্বীকার করেছেন।

এদিকে চলমান ড্রেন নির্মাণ কাজের মান নিয়ে রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে এলাকার বিভিন্ন ড্রেন ও ডোবাগুলোতে পানি জমে আছে। সেই সঙ্গে বাসাবাড়ির ব্যবহৃত পানি ড্রেন দিয়ে নিয়মিত প্রবাহিত হচ্ছে। আর পানি না সরিয়ে বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করেই সংস্কারাধীন জলাবদ্ধ ড্রেনে ঢালাই ফেলা হচ্ছে। এভাবে কাজ চলতে থাকলে, এই ড্রেনগুলো মোটেও টেকসই হবে না। তারা আরও অভিযোগ করে জানান, ড্রেনগুলো নির্মাণে প্রয়োজনের তুলনায় রডের পরিমাণও কম দেওয়া হচ্ছে। রামচন্দ্রপুর এলাকার রাস্তাসংলগ্ন পুকুরের পূর্ব পাশের একটি গলির মুখে গিয়ে দেখা যায় সেখানে নতুন করে একটি ড্রেন তৈরি হচ্ছে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছেন। পাশেই ঢালাই মেশিনে ঢালাই মিকচার তৈরি হচ্ছে। নির্মাণাধীন ড্রেনটির মধ্যে হাঁটুপানি জমে আছে। আর সেই হাঁটুপানির মধ্যেই শ্রমিকরা নেমে কাজ করছেন। পর্যায়ক্রমে শ্রমিকরা এসে সেই পানির মধ্যে ঢালাই ফেলছেন। আর এভাবেই কাজ এগিয়ে চলেছে।

ড্রেনটির নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আশপাশের বাড়ি থেকে পানি আসছে, তাই ড্রেনে পানি জমে আছে। মালিকপক্ষের দাবি কাজ বন্ধ করা যাবে না।

নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে বহরমপুর এলাকার ড্রেন নির্মাণে। এ বিষয়ে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, তাদের কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। এমন হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর