মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

অবহেলায় জীর্ণ জাতিসংঘ পার্ক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

অবহেলায় জীর্ণ জাতিসংঘ পার্ক

চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র জাতিসংঘ পার্ক। কিন্তু এ পার্কের ভিতরের বিভিন্ন অংশে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে মাটির স্তূপ। আছে আবর্জনা। কয়েকটি স্থানে অস্তিত্বহীন পার্কের সীমানাপ্রাচীর। ভিতরে হাঁটার পথের বড় অংশ জুড়ে জমে আছে নোংরা ও কালো পানি। অবস্থাদৃষ্টে অনেকটা পরিত্যক্ত একটি জায়গার মতোই। জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।  

অথচ নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার পার্কটি নগরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। সন্ধ্যা নামলেই দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর থাকত এটি। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে চরম অবহেলা-অযতেœ পড়ে আছে সম্ভাবনাময় বিনোদন কেন্দ্রটি। নানা-শ্রেণি পেশার মানুষের বিনামূল্যের এ কেন্দ্রটি এখন একটি পরিত্যক্ত জায়গা, জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থা। গণপূর্ত বিভাগের জায়গায় গড়ে ওঠা পার্কটি  পরিচালনা করে আসছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকত পার্কটি।   

নগরবাসীর অভিযোগ, চট্টগ্রাম নগরে জনসংখ্যার তুলনায় বিনোদন কেন্দ্র যথেষ্ট অপ্রতুল। তবুও জাতিসংঘ পার্কটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। অথচ চসিক সড়ক-ফুটপাথ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছে। একটু আন্তরিক হলেই সিটি করপোরেশন জাতিসংঘ পার্কটিকে একটি আধুনিক বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করা সম্ভব হতো। এর মাধ্যমে ইট-পাথরের এই শহরের মানুষ অন্তত একটু মুক্ত বাতাস নেওয়ার সুযোগ পেত। নগরের অন্যতম বৃহত্তম আবাসিক এলাকার মানুষও এখানে পড়ন্ত বিকালে সময় কাটাতে পারত।  

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা বলেন, ‘মাঝখানে এটির মালিকানা নিয়ে গণপূর্ত ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝি হয়েছিল। ফলে এটি নিয়ে নতুন করে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। তবে এখন পার্কটি নিয়ে চসিক একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তাছাড়া সম্প্রতি গণপূর্ত বিভাগও এটি চালু করার সম্মতি প্রকাশ করেছে। কিন্তু কাজটি কোন সংস্থা কীভাবে বাস্তবায়ন করবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটি চূড়ান্ত হলেই উন্নয়ন কাজ করা হবে।’

চসিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৪ সালে গণপূর্ত বিভাগ পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় এক একর জায়গায় পার্কটি গড়ে তোলে। ২০০২ সালে এটি জাতিসংঘ পার্ক নামকরণ করা হয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে পার্কের একাংশে ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫০ ফুট প্রস্থের দুটি সুইমিং পুল এবং সাত হাজার বর্গফুটের একটি জিমনেশিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়, ২০১৫ সালে এ কাজ শেষ হয়। কিন্তু বর্তমানে এটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।

সর্বশেষ খবর