মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাঙামাটি প্রবেশপথে আবর্জনার স্তূপ

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটি প্রবেশপথে আবর্জনার স্তূপ

রাঙামাটি প্রবেশমুখেই আবর্জনার স্তূপ। এসব রাস্তার পাশে ময়লা ফেলায় ঘটছে পরিবেশ দূষণ। নির্দিষ্ট কোথাও ডাম্পিং স্টেশন তৈরির দাবি জানালেও পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট পৌরসভা। সরেজমিন জানা যায়, রাঙামাটি শহরের বেতার এলাকায় প্রধান সড়কের পাশে আবর্জনা কেন্দ্রটি। চরম দুর্গদ্ধে ওই এলাকার সড়কে হাঁটতেও ভয় পায় পথচারীরা। কিন্তু প্রধান সড়ক হওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে চলাচল করছে যানবাহন। রাঙামাটি শহরের সব ময়লা-আবর্জনা জমানো হয় মূল সড়কের পাশে। এসব ময়লা-আবর্জনার গন্ধ বাতাসে ভেসে আসে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত। এভাবে ময়লা ফেলার কারণে কুকুর এসব আবর্জনা টেনে আনছে সড়কের ওপর। ফলে পথচারীদের জন্য একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। এসব ময়লার বেশির ভাগ অংশ যাচ্ছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে। ফলে মারাত্মক দূষিত হচ্ছে হ্রদের পানি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পৌরসভার উদাসীনতায় অযত্ন, অবহেলা আর অব্যবস্থাপনায় রূপবৈচিত্র্য হারাতে বসেছে রাঙামাটি। শহরজুড়ে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ছড়ানো হাট-বাজার, অবৈধ স্থাপনা, যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা অভিযোগ দিয়ে আসছে শহরের প্রবেশমুখ থেকে আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে নিতে। আমি এ বিষয়ে অনেকবার পৌর মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আশ্বস্ত করলেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ ব্যাপারে রাঙামাটি পৌর প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দীন বলেন, পৌরসভার কর্মীরা প্রতিদিন শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে। আবর্জনা ফেলার জায়গা স্থানান্তরের জন্য শহরের আসামবস্তি এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর