মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কঠিন বর্জ্য সংগ্রহে নেই নীতিমালা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

কঠিন বর্জ্য সংগ্রহে নেই নীতিমালা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)-সহ দেশের সব করপোরেশনের কঠিন বর্জ্য সংগ্রহে প্রয়োজনীয় কোনো নীতিমালা নেই। বর্তমানে বর্জ্যগুলো  অপরিকল্পিত, খোলা যানবাহন এবং দিনরাত সমানে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর ফলে দূষণ হয় পরিবেশ। দুর্গন্ধ ছড়ায় সর্বত্র। বর্জ্য পরিবহনের সময় চলতে হয় নাকে রুমাল দিয়ে।   

তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিটি করপোরেশন শাখা-২ কঠিন বর্জ্য সংগ্রহে  একটি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে গতকাল ‘কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ নীতিমালা’ শীর্ষক একটি চিঠি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আগামী সাত দিনের একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কঠিন বর্জ্যরে মধ্যে আছে, প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য, পলিথিন ব্যাগ, খাদ্য ও শিল্পের বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক, শিল্পপণ্য, গৃহস্থালি বর্জ্য, মুঠোফোন, ইলেকট্র্রনিক্স পণ্য, নির্মাণসামগ্রী, তৈজসপত্র, আসবাব, চিকিৎসা সরঞ্জাম, কাগজ, কাপড়, রাবার, ধাতব, কাচ ইত্যাদি।  

চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নগরের ৪১ ওয়ার্ডে দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। চসিকে প্রতিটি ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কারের জন্য ১ হাজার ৬৬৯ জন পরিচ্ছন্নকর্মী আছে। এসব কর্মীর প্রতিটি ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা এবং ড্রেন পরিষ্কার করার কথা। তবু নগরের নালা-নর্দমা এবং ড্রেন বর্জ্যে ভরপুর থাকে বলে অভিযোগ আছে। এসব নালায় প্রজনন হচ্ছে মশা। আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।   

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী বলেন, ‘কঠিন বর্জ্য সংগ্রহে চসিকের কোনো নীতিমালা নেই। তবে একটি নীতিমালা প্রণয়নে মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল একটি চিঠি দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর