মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পদ্মাপাড়ে সৌন্দর্যের আয়োজন

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

পদ্মাপাড়ে সৌন্দর্যের আয়োজন

রাজশাহীর মহানগরীর পাঠানপাড়া পদ্মাপাড়ে ২০১৩ থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যারা গেছেন, তারা এখন গেলে অনেকটা চমকে উঠবেন। নেই গরুর খামার, যেখানে-সেখানে আবর্জনার স্তূপ। এখন সবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। জায়গাটি নতুনভাবে সৌন্দর্যবর্ধনে ফেরাতে এক কোটি টাকা ব্যয়ে অক্টোবর মাস থেকে কাজ শুরু হয়েছে। তবে পুরো কাজ শেষ করতে আরও দুই কোটি টাকা ব্যয় হবে।

কাজ শেষ হতে সময় লাগবে চার মাস। বেড়া দিয়ে ঘিরে পুরো কাজ শেষে এখানে ফুল, ফল ও সৌন্দর্যবর্ধনে বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে শিশুদের খেলাধুলার জন্য কিছু রাইড বসিয়ে বিনোদনের জন্য উপযুক্ত করা হবে।

কয়েক মাস আগেও নগরীর পাঠানপাড়া এলাকার পদ্মাপাড়ের শাহ মখদুম (রহ.)-এর মাজার থেকে মুক্তমঞ্চ পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন স্থান অবৈধ দখলে ছিল। দুই পাশেই চলত গরু, ছাগল, ভেড়া পালন এবং চারদিকে ছিল ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। দীর্ঘদিন এ অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে নির্মল বিনোদন থেকে বঞ্চিত ছিল বেড়াতে আসা বিনোদনপ্রেমীরা। কিন্তু পদ্মাপাড় এখন বৈচিত্র্যপূর্ণ সৌন্দর্যে ফিরছে তার আসল রূপে। দীর্ঘদিন থেকে গণমাধ্যমের খবর এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মূল দাবি ছিল নদীর ধারে দূষিত এ এলাকায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সুন্দরভাবে ফিরিয়ে আনা। অতীতে এ জায়গা দিয়ে বিনোদনপ্রেমীরা নাক-মুখ ঢেকে জোরেশোরে হেঁটে গেলেও এখন তার উল্টো চিত্র ফিরেছে। বিনোদনপ্রেমীদের সেই কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা এখন পূরণ হতে চলেছে। প্রতি দিন গোটা এলাকা সকাল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত পর্যন্ত থাকে বিনোদনপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত।

রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী মেহের জানান, এ জায়গাটিতে কয়েক মাস আগেও নোংরা আর দুর্গন্ধে চলাফেরা দায় ছিল। দীর্ঘদিন পরে হলেও জায়গাটির এমন আমূল পরিবর্তন দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগছে। চারদিকে নতুন ঘাস আর বিভিন্ন গাছ লাগানো হয়েছে। অনিক কুমার পাল জানালেন, মাঝেমধ্যে এখানে বন্ধুরা মিলে বেড়াতে আসেন। কিন্তু নোংরা পরিবেশে জায়গাটা তার আসল রূপ হারিয়ে ফেলেছিল। কিছু কিছু জায়গা দিয়ে গেলে বমি চলে আসত। অনেক দিন পরে হলেও সিটি কপোরেশন জায়গাটির সৌন্দর্য ফিরিয়েছে।

রাজশাহী সিটি কপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, বর্তমানে এক কোটি টাকার প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে। পুরো কাজ শেষ করতে আরও দুই কোটি টাকা লাগবে। চার মাসের মধ্যেই কাজটি শেষ করার পরিকল্পনা আছে।

সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ২০০৮ সালে মেয়র নির্বাচিত হয়ে পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য বাড়াতে নানা প্রকল্প নিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালের পর পাঠানপাড়া হয়ে লালন শাহ মঞ্চ পর্যন্ত জায়গা রাতারাতি দখল হয়ে যায়। সেখানে গরুর খামার গড়ে তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় মেয়র হয়ে আবারও পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য ফেরাতে কাজ শুরু করেছেন।

 

সর্বশেষ খবর