মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্বাচ্ছন্দ্য ফিরেছে ধর্মসাগরপাড়ে

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

স্বাচ্ছন্দ্য ফিরেছে ধর্মসাগরপাড়ে

কুমিল্লা নগর উদ্যান থেকে দোকান তুলে দেওয়ায় খুশি প্রাতঃভ্রমণকারীরা। এতে স্বাচ্ছন্দ্যে তারা হাঁটতে ও ব্যায়াম করতে পারছেন। দোকান উচ্ছেদের পর পুনঃসংস্কারে নান্দনিক হয়ে উঠেছে কুমিল্লা ধর্মসাগরপাড় নগর উদ্যান। মনোরম পরিবেশের কারণে বেড়েছে দর্শনার্থীর সংখ্যাও।

নগরীর বাদুরতলা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের পাশ ঘেঁষে ধর্মসাগরে প্রবেশ করলেই মূল ফটক। মূল ফটক আর দেয়ালে করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ। একটু এগিয়ে গেলে আরও দেখা যাবে বাহারি নকশার বসার বেঞ্চ।

নগর উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজটি করেন প্রখ্যাত সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর ছেলে চিত্রশিল্পী জুনায়িদ মোস্তফা চৌধুরী।

ধর্মসাগরপাড়ে হাঁটতে আসা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইকবাল আনোয়ার বলেন, দোকান উচ্ছেদের পর হাঁটার জায়গা প্রশস্ত হয়েছে। এখানে দিঘির চারপাড়ে ওয়াকওয়ে হলে প্রাতঃভ্রমণকারীদের সুবিধা হবে। লেখক এহতেশাম হায়দার চৌধুরী বলেন, নগর উদ্যানের পুনঃসংস্কার কাজটিতে শৈল্পিকতার ছোঁয়া রয়েছে। সুর তরঙ্গ টেরাকোটার শিল্পীর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। আরও কিছু কাজ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। সৌন্দর্য রক্ষায় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে নজরদারি বাড়াতে হবে। সংস্কারের আগে দোকানের কারণে হাঁটতে বিরক্ত লাগত। এখন সকালে হাঁটতে ভালো লাগে। এ অবস্থা যেন বিদ্যমান থাকে। নগর উদ্যান পুনঃসংস্কারের বিষয়ে সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল কুমিল্লাবাসীর বিনোদনের জন্য একটি প্রথম শ্রেণির নগর উদ্যান গড়ে তোলা। সে থেকে সংস্কার কাজ করা হয়। এখন বাকি রয়েছে ধর্মসাগরের তিন পাড়ের মধ্যে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা। এ জন্য বিশ্ব ব্যাংক ও জাইকাকে আহ্বান করা হয়েছে। যারা উপযুক্ত তাকেই কাজটি দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর