প্রযুক্তির প্রভাবে ক্ষয়িষ্ণু বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি ছাপাখানা ছিল যার কথা ডাক বিভাগই ভুলতে বসেছে। টঙ্গী বিসিক এলাকায় অবস্থিত পোস্টাল প্রিন্টিং প্রেস এখন জনবলের অভাবে খুঁড়িয়ে চলছে। প্রতি বছর কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে যাচ্ছেন, নতুন কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না। টঙ্গীতে ৭৫ জন কর্মী নিয়ে পোস্টাল প্রিন্টিং প্রেস চালু হয় ১৯৮৩ সালে। এর পর চাকরির মেয়াদ শেষে অনেকেই অবসরে চলে যান। বর্তমানে ৩২ জন কারিগরি কর্মচারী দিয়ে চলেছে প্রিন্টিং প্রেসের কার্যক্রম। জনবলের অভাবে প্রেসের মেশিন চালানো, বাঁধাইসহ বিভিন্ন কার্যক্রম খুঁড়িয়ে চলছে। লোক নিয়োগ না হলে ২০২৩ সালের পর আর কোনো কারিগরি কর্মকর্তা থাকবে না। এদিকে ডাক বিভাগের একমাত্র প্রিন্টিং প্রেস হওয়ায় দীর্ঘদিন একই অফিসে কাজ করে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। নতুন কোনো নিয়োগ নেই, কর্মীদের পদোন্নতিরও ব্যবস্থা নেই। একই পদে দীর্ঘদিন কাজ করে হতাশ কর্মীরা। এ ব্যাপারে পোস্টাল প্রিন্টিং প্রেসের ম্যানেজার উৎপল কুমার দত্ত বলেন, শূন্য পদে লোক নিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটিকে সচল রাখা দরকার। ইতিমধ্যে ১১ জনের ছাড়পত্র পেয়েছি তবে নিয়োগ হয়নি।