শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

দূষণে বিপন্ন তুরাগ

আফজাল, টঙ্গী

দূষণে বিপন্ন তুরাগ

কারখানার তরল বর্জ্য আর দূষণে বিষাক্ত তুরাগ নদের পানি। গাজীপুরে ওয়াশিং ডাইংসহ বিভিন্ন কারখানার তরল বর্জ্য তুরাগ নদে প্রবাহিত হয়ে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে তুরাগ নদের পানি। নদের দিকে তাকালে মনে হয় এ যেন ময়লার ড্রেন! নৌকা দিয়ে নদী পারাপারের সময় পচা গন্ধে নাক চেপে নদ পার হচ্ছেন যাত্রীরা। আইন থাকা সত্ত্বেও কেউ মানছেন না নদী রক্ষা আইন। শিল্প মালিকরা পরিবেশ অধিদফতরের নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে পরিবেশ দূষণ করছেন। আর এই দূষণের কারণে দিন দিন নদের চিত্র হারিয়ে যেতে বসেছে। একসময় টঙ্গী বিশ^ ইজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসল্লি ও আশপাশ এলাকার মানুষ এই তুরাগ নদের পানি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতেন। বর্তমানে পানি ব্যবহার তো দূরের কথা নদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, কারখানার তরল বর্জ্য আর দূষণে বিষাক্ত তুরাগ নদের পানি। গাজীপুরে ওয়াশিং ডাইংসহ বিভিন্ন কারখানার তরল বর্জ্য তুরাগ নদে প্রবাহিত হয়ে বিষাক্তে পরিণত হয়েছে তুরাগ নদের পানি। যা বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নদের মাছও খাওয়ার অনুপযোগী। পানিতে নামলে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা আজাহার বেপারি বলেন, সেই তুরাগ নদের চিত্র আর নেই। এখন ময়লার ড্রেনে পরিণত হয়েছে। যে কারণে মানুষ নদের পাশে দাঁড়ায় না। টঙ্গী নদী বন্দর এলাকার রব্বানী ওয়াশিং কারখানার এক মালিক মাহাবুব রব্বানী বলেন, নদী রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারখানার তরল বিষাক্ত বর্জ্য নদে ফেলব না। তবে নদের দূষণ রোধে সেন্ট্রাল ইটিপি নির্মাণ হলে অনেকটাই দূষণ কমে আসবে। তাই সরকারের পক্ষ থেকে কারখানা মালিকদের সহযোগিতা করে নদের পাশে সেন্ট্রাল ইটিপি নির্মাণ করতে হবে। টঙ্গী সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ মো. ওয়াদুদুর রহমান বলেন, একসময় এই নদের পানি খাওয়া-গোসল করাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেত। এখন পানিতে নামা কিংবা ব্যবহার করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। একমাত্র কল-কারখানা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিষাক্ত তরল বর্জ্যরে কারণে তুরাগ নদের ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। আমাদের দেশ নদীমাতৃক। তাই নদের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবদুস সালাম সরকার বলেন, আমরা বিভিন্ন কারখানা মালিককে চিঠি দিয়েছি। বিভিন্ন কারখানায় অভিযান চালিয়ে পরিবেশ দূষণের দায়ে জরিমানা আদায় করছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর