মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

উন্নয়নে বদলে গেছে নগরচিত্র

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

উন্নয়নে বদলে গেছে নগরচিত্র

রাজশাহী মহানগরীর সিটি হাট এলাকার প্রধান সড়ক। রাস্তার নিচে দীর্ঘ মাঠ, চারদিকে সবুজ শাক-সবজির খেত। একটু সামনে এগোলেই নতুন রাস্তা, সঙ্গে আছে নতুন রেলিং। রাস্তার পাশের খেতে নানা শাক-সবজির যত্ন নিতে ব্যস্ত কৃষক। সবজি চাষি কাশেম আলী জানালেন, নতুন রাস্তা ও রেলিং হওয়ায় এ এলাকার মানুষের অনেক উপকার হয়েছে। পাশের ড্রেন দিয়ে শহরের পানি চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে ও এলাকার মানুষের চলাচলে নতুন রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সুবিধাও পাচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণ। শহরের মাঝে সবজি খেত এই এলাকার টন কে টন সবজির আবাদে নতুন রাস্তার সুবাদে অনেক উপকার পাচ্ছেন কৃষকরা। এমনটাই জানাচ্ছিলেন সবজি চাষি কাশেম আলী ও শরিয়ত। একটু এগিয়ে যেতেই আরেক কৃষক মহসিন জানান, আগে রাস্তা না থাকায় অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কাদামাটি পেরিয়ে প্রধান রাস্তায় উঠতে হয়েছে। শাক-সবজি বহনের গাড়ি প্রধান সড়কে রেখে মাল নিয়ে যেতে হয়েছে। আর শহরের সব পানি এই রাস্তা দিয়েই নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে মাঝে মাঝেই ড্রেনের পানি আটকে রাস্তায় জমে থাকত। আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। রাস্তাটি হওয়ায় আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। কৃষক শেখ আবদুল বারেক জানান, আগে বাচ্চারা স্কুলে গেলে পানি ডিঙিয়ে মাঝে মাঝে বাড়িতে আসত। কিন্তু এখন এই রাস্তা দিয়ে সহজে স্কুলে যাচ্ছে বাচ্চারা। আমরা সহজেই কৃষিপণ্য গন্তব্যে নিতে পারছি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নগরীর নাহার একাডেমি থেকে শুরু করে সিটি হাট এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তাটি ব্যাপক সুবিধা সৃষ্টি করেছে সংলগ্ন হাজার হাজার মানুষের। রাস্তায় গাড়ি রেখে ড্রেনের বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে নিয়মিত। এতে শহরের পানি দ্রুত ড্রেন দিয়ে চলাচল করবে। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  

রাজশাহী সিটি করপোরেশন সূত্র মতে, রাজশাহী নগরীর সব ওয়ার্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এখন উন্নয়নের কাজ চলছে। অন্যদিকে বাদ যাচ্ছে না নগরীর শেষ জায়গাগুলোও। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো এখন নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তার মাঝে এই রাস্তাটিও আছে। রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, নগরীর সব জায়গায় উন্নয়নের কাজ চলছে। এর মাঝে সিটি হাট এলাকার প্রধান রাস্তা সংলগ্ন ড্রেন দিয়ে শহরের কিছু অংশের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ওই ড্রেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নগরীর রাস্তাগুলোও এখন চওড়া করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। কাজটি শেষ হবে ২০২০ সালের জুনে। ৯ কিলোমিটার রাস্তা এবং তিন ধরনের ড্রেন নিয়ে ১০০ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ হচ্ছে। এর মাঝে মোট ১০ একর জায়গা ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। যার মোট বাজেট ১৯৩ কোটি টাকা।

সর্বশেষ খবর