মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সিটিতে বঞ্চিত নারী কাউন্সিলররা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

সিটিতে বঞ্চিত নারী কাউন্সিলররা

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত সংরক্ষিত আসনের নয়জন নারী কাউন্সিলর বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। তারা জানান, নারী কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিরা জনগণের সেবা দিতে পারছেন না। নারী প্রতিনিধিরা জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদপত্র দিতে না পারায় তাদের মর্যাদাহানিসহ জনগণের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সূত্র জানায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম পরিষদের পাঁচ বছর নারী কাউন্সিলররা সবধরনের সনদপত্র প্রদান করতে পারলেও দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত নারী কাউন্সিলরদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্র সীমিত করে ফেলা হয়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একজন সেবাপ্রত্যাশী কামরুন্নাহার বলেন, জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে মহিলা কাউন্সিলরের কাছ থেকে ফিরে এসেছি। তারা নাকি জন্ম নিবন্ধন করতে পারেন না। তাহলে তাদের ভোট দিয়ে কি লাভ? সাধারণ ওয়ার্ড ১৩, ১৪, ১৫ সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরজাহান আলম পুতুল বলেন, আমাদের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করার দায়িত্ব না দেওয়ায় জনগণের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি। জনগণের ভোটের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে প্রাপ্য অধিকারটুকু প্রতিষ্ঠিত করার দাবি জানাচ্ছি। সাধারণ ওয়ার্ড ১, ২, ৩ ও সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউছারা বেগম সুমি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছেন। সংরক্ষিত আসনের একজন কাউন্সিলর জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে আমাদেরও দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সাধারণ ওয়ার্ড ৭, ৮, ৯ ও সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উম্মে কুলসুম মুনমুন বলেন, জনগণের সরাসরি ভোটে তিনগুণ বেশি ভোটার ও এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েও আজ আমরা অবহেলিত। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের কাজ আমরা করতে না পারায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। সাধারণ ওয়ার্ড ৪, ৫, ৬ ও সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাদিয়া নাছরিন বলেন, অন্যান্য কাজের পাশাপশি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করার ক্ষমতা আমাদের দেওয়া উচিত। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, নারী জনপ্রতিনিধিরা সম্মনিত হোক সেটা আমিও চাই। যেগুলো আইনে নেই এমন অনেক কাজেও তাদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। তবে আইনে না থাকায় তাদের নিবন্ধনের সঙ্গে সংযুক্ত করা যাচ্ছে না। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিলে আমরা তাদের কাজের সুযোগ দিতে পারব।

সর্বশেষ খবর