শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

রাস্তায় রাস্তায় মরণফাঁদ

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

রাস্তায় রাস্তায় মরণফাঁদ

সিলেট নগরীর টিলাগড় পয়েন্টে রাস্তার ওপর বিপজ্জনকভাবে পড়ে থাকা ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থাপন করা গেটের খুঁটি

সিলেট নগরীতে সন্ধ্যার পরেই শুরু হয় পাথর বোঝাই বড় ট্রাকের চলাচল। এতে নগরজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট। বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিচ্ছে তাজা প্রাণ। অনেকে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। এমন দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। গত দুই মাসে নগরীতে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। আহত অন্তত ১০ জন। দীর্ঘদিন ধরেই দানব আকৃতির ট্রাকগুলো নগরীর ভিতর দিয়ে চলাচল করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী।

এ নিয়ে কয়েকবার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। রাত ১০টার আগে নগরীর ভিতরে ট্রাক প্রবেশে নিষেধ করা হয়। এ ছাড়া নগরীর ভিতরে ট্রাক চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট কিছু রাস্তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ট্রাক চালকরা সন্ধ্যার পর থেকেই নগরীর ভিতরে ট্রাক নিয়ে ঢুকে পড়েন। চলাচল করেন বেপরোয়া। দানব আকৃতির এসব ট্রাকের দ্বারা সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে গত অক্টোবরে ভিন্নরকম একটি উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন। মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশনায় নগরীর প্রবেশমুখগুলোতে লাগানো হয় গেট। লোহার পাইপ দিয়ে নির্মাণ করা হয় প্রতিবন্ধক গেটগুলো। নিয়ম করা হয় নির্ধারিত সময়ে সেসব গেট খুলে দেওয়া হবে এবং যেসব সড়কে ট্রাক প্রবেশ নিষিদ্ধ সেগুলো বন্ধ থাকবে। এতে সময়ের আগে নগরীতে ট্রাক চলাচল করার সুযোগ পাবে না।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী টিলাগড়, আম্বরখানা, শাহী ঈদগাহসহ নগরীর প্রবেশমুখগুলোতে ৮টি গেটও তৈরি হয়। কিন্তু ট্রাক আটকানোর জন্য লাগানো গেটগুলো বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙে গিয়ে এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ আছে, নগরীর সব রাস্তা দিয়ে যাতে অবাধে ট্রাক চলতে পারে সে জন্য ট্রাক চালকরাই পরিকল্পিতভাবে গেটগুলো ভেঙে ফেলেছেন। টিলাগড় ও শাহী ঈদগাহ এলাকায় গেটের পিলার এমনভাবে ভেঙেছে, যা এখন দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই এই গেটের পিলারের ভাঙা অংশে দুর্ঘটনা ঘটছে। বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা।  এ ছাড়া শাহী ঈদগাহ থেকে আম্বরখানা যাওয়ার রাস্তায় লাগানো গেটগুলোও ভাঙা হয়েছে। ভাঙা গেটগুলো পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন উদাসীন। ভাঙা খুঁটিগুলো অপসারণের কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না তারা।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, গেটগুলো ভেঙে পড়েছে খবর পেয়েছি। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে বসে কীভাবে উন্নতমানের গেট করা যায় সেটি ভাবা হবে।

এ ছাড়া এই গেটগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার করারও পরিকল্পনা রয়েছে। ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে নগরীতে দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব নয়।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর