গত বছরের এপ্রিলে রাজশাহী শহরের ফুটপাথ থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। সিটি করপোরেশন ঘোষণা করে, ফুটপাথে নয়, রাস্তার পাশে ভ্যান নিয়ে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবসা করতে পারবেন। কিন্তু সেই ফুটপাথ আবার দখলে। শুধু ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী নয়, দোকানদারই দখল করে আছেন অর্ধেকের বেশি ফুটপাথ। নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে শুধু করে সোনাদীঘির মোড় পর্যন্ত সড়ক দোকানের দখলে। সারা রাত চলে ব্যবসা। শহরের অন্যান্য এলাকার ফুটপাথও দখল হতে শুরু করেছে। সকাল হলেই পুরো সড়কে বসছে বাজার। নগরীর আলুপট্টি থেকে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে নতুন করে গড়ে উঠেছে স্থাপনা। 
পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য এসব ফুটপাথ নির্মাণ করা হলেও তা কোনো কাজে আসেনি। দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলতে হয়। সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল জানান, নগরীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়েছিল। কিছুদিন না যেতেই সেগুলোতে আবারও স্থাপনা গড়ে উঠছে। বেশকিছু এলাকায় আবারও স্থাপনা গড়ে ব্যবসা শুরু হয়েছে। সিটি করপোরেশন আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালাবে। নগর ঘুরে দেখা গেছে, দুই পাশের ফুটপাথ তো বটেই রাস্তা পর্যন্ত দখল করে ছোট ছোট দোকানপাট বসে। চেয়ার, সোফা, র্যাক-কী নেই ফুটপাথে? কাপড়ের দোকান, চা, পান-সিগারেটের দোকান, ফলের পসরা, আসবাবের দোকান, মেরামত হচ্ছে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল, বিক্রি হচ্ছে পেট্রল ও ডিজেলের মতো দাহ্য পদার্থ। কোথাও কোথাও ফুটপাথের ওপর অটোবাইক, ভ্যান, মোটরসাইকেল কিংবা রিকশা পার্কিং করা থাকে। ফুটপাথের কোথাও কোথাও সম্পূর্ণ দখল করা আছে, কোথাও ৫০ থেকে ৮০ ভাগ পর্যন্ত দখল।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, পরিকল্পিত নগরী গড়তে মানুষের হাঁটার পথ থাকতে হবে। কিন্তু কিছু মানুষের কারণে ফুটপাথ থাকছে না। এগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছিল। ব্যবসায়ীরা আবার দখল শুরু করেছেন। এই দখল উচ্ছেদে আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
