মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

ময়মনসিংহ নগরীতে বন্ধ হচ্ছে ইউটার্ন

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ নগরীতে বন্ধ হচ্ছে ইউটার্ন

ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজার মোড় থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক। সোজা এই সড়কটিতে ১৪টি ইউটার্ন। যানজট নিরসনে ১৪টি ইউটার্নের মধ্যে ১১টিই বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়াও চড়পাড়া মোড় থেকে মেডিকেল কলেজ গেট পর্যন্তও সব ইউটার্ন বন্ধ করা হয়েছে। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান জানান, ‘পরীক্ষামূলকভাবে আমরা ১৫ দিন ইউটার্ন বন্ধ রেখেছি। যানজট নিরসনে এমন উদ্যোগে সফলতা এসেছে। এখন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে। তবে সড়কদ্বীপ সড়কের সঙ্গে প্রায় লেগে যাওয়ায় যানবাহন খুব সহজেই এপার-ওপার চলে যায়। এজন্য সড়ক ও জনপথকে বলা হয়েছে। খুব শিগগিরই সড়কদ্বীপ উঁচু করার কাজ শুরু হবে।’ নগরীর প্রধান সড়কগুলো ঘুরে দেখা যায়, যানজট নিরসনে ইউটার্ন বন্ধ করার পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে অনেক সড়কেই বিভাজক তৈরি করে পৃথক লেন করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে নির্দিষ্ট ইউটার্ন ছাড়া যানবাহন ঘোরানো আর সম্ভব নয়।

প্রাইভেটকার চালক আসাদ মিয়া বলেন, ‘সিস্টেমটির সঙ্গে আমরা পরিচত নই। কিছুদিন গেলে হয়তো অভ্যস্ত হব। তবে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।’ আগের চেয়ে যানজট কমলেও সংকীর্ণ সড়কে অবৈধ পার্কিং ও দুই পাশে ভাসমান দোকানপাটের ফলে পুলিশের এ উদ্যোগে পুরোপুরি সফলতা আসেনি-এমন মত নগরীর ব্যাংকার সোহেল আরমানের। নগর বিশ্লেষকদের মতে, ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরীতে ইউটার্ন বন্ধ স্থায়ী সমাধান নয়। যেসব স্থানে ইউটার্ন নেওয়ার জন্য এখনো খোলা রাখা হয়েছে সেখানে ট্রাফিক আইল্যান্ড নির্মাণ করা প্রয়োজন। আর ভবিষ্যতের কথা ভেবে সিটি করপোরেশনের উচিত ইউলুপ নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করা। তবে এমন উদ্যোগের পরও খোদ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগই হিমশিম খাচ্ছে গাড়ির চাপ সামলাতে। গলদঘর্ম হয়ে কোনোমতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেন ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশ। মাঝে মাঝে অনেকটা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায় তাদের। এ সম্পর্কে ট্রাফিক পরিদর্শক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, ‘সদরে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে দুই শিফটে কমপক্ষে ১০ জন সার্জেন্ট এবং ১০০ জন কনস্টেবল প্রয়োজন। এর বিপরীতে ৬ জন সার্জেন্ট এবং ৬৯ জন কনস্টেবল রয়েছেন।’

সর্বশেষ খবর