অপরাধীদের আখড়া এখন টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন ও জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন। চুরি, ছিনতাই, মাদক সেবনসহ নানা অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলছে রেলস্টেশনে। রেলওয়ে পুলিশের দায়িত্বহীনতায় স্টেশন এলাকায় কোনো না কোনো অঘটন ঘটছে প্রতিনিয়ত। অপরাধীরা সাধারণ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে দ্বিধাবোধ করছে না কখনো। গাজীপুরের ওপর দিয়ে ট্রেনযোগে প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী যাতায়াত করছে। টঙ্গী রেলওয়ে ও জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এখন অপরাধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। টঙ্গী রেলওয়ে জংশন প্লাটফর্মে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট। প্লাটফর্মের আশপাশ ঘিরে রয়েছে চোরাই জুতা, কাপড় ও মোবাইল বাজার। চোরাই মালামাল বিক্রি হয় ওইসব দোকানে। অপরাধীরা প্লাটফর্মে কিংবা আশপাশে অবস্থান নিয়ে চালিয়ে যায় তাদের কার্যক্রম। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই শুরু হয় তাদের ব্যাপক 
তৎপরতা। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১০টায় টঙ্গী জংশনে থামলে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা একদল ছিনতাইকারী ওই ট্রেনের যাত্রী এলিট পেইন্ট কারখানার চট্টগ্রাম ডিপোর শ্রমিক রাকিব মোবাইলে কথা বলার সময় তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রাকিবও ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে ছিনতাইকারীদের পিছু নিয়ে ধাওয়া করে। এতে ছিনতাইকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে রেলগেট স্কুলের পূর্ব পাশে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে তার মৃত্যু হয়। সম্প্রতি জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ট্রেন থেকে নেমে বাসায় ফেরার পথে এক যাত্রীর মোবাইল, টাকা লুটে নেয় ছিনতাইকারীরা। এ ছাড়া প্লাটফর্মে অবস্থানরত যাত্রীদের মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশি ঝামেলায় কেউ থানায় যান না কিংবা মুখও খুলতে চান না। রেলওয়ে জংশন এলাকায় এসব ঘটনায় ফাঁড়ি পুলিশের ভূমিকা নাজুক বলে মনে করছেন যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হালিমুজ্জামান বলেন, এসব দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে তারা দেখবে। প্লাটফর্মে অবৈধ দোকান পাটের বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্ছেদ করার পর আবার বসে যায়। গাজীপুর মেট্রো টঙ্গী জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা থোয়াই অংপ্রু মারমা বলেন, ছিনতাইকারীরা থানা এলাকায় ঠাঁই না পেয়ে এখন রেলওয়ে জংশনের দিকে ঝুঁকছে।
