মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

পিসি রোডের ভোগান্তি যায় না

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

পিসি রোডের ভোগান্তি যায় না

সড়কটির নাম পোর্ট কানেক্টিং (পিসি) রোড। এটির সঙ্গে দেশের সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার বন্দরের সংযোগ। কিন্তু বাস্তবতায় এটি বন্দরের সঙ্গে ‘ডিসকানেক্টিং’ রোডের মতো অবস্থা। খানাখন্দে ভরা সড়কের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। ফলে বেগ পেতে হয় বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে বের হওয়া কন্টেইনারবাহী পরিবহনগুলোর। ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে বন্দর থেকে আসা পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়িগুলোকে। বছর যায় কিন্তু পিসি রোডের ভোগান্তি শেষ হয় না। জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়ন এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) ‘সিটি গভর্নেন্স প্রকল্পের’ আওতায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সড়কটির উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চসিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলা আর ধীরগতির কারণে শেষ হয় না কাজ। কাজ শেষ না হওয়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নগরের নিমতলা বিশ্বরোড থেকে বড়পুল-নয়াবাজার হয়ে অলঙ্কার-সাগরিকা পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার পোর্ট কানেকটিং রোড সংস্কার প্রকল্পটি দুই পর্যায়ে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় রাস্তার দুই পাশে আরসিসি ড্রেন ও ফুটপাথ নির্মাণ, রাস্তার মাঝখানে মিডিয়ান নির্মাণ এবং এলইডি সড়ক বাতির ব্যবস্থা করা হবে। ছয়লেনে ১২০ ফুট প্রস্থের পোর্ট কানেকটিং রোডের দৈর্ঘ্য প্রায় সাত কিলোমিটার। চসিক মেয়র গত ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর কাজটি উদ্বোধন করেন। ২০১৯ সালের মে মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হয়নি। কাজের মেয়াদকাল আবারও বাড়ানো হয়েছে।

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ বলেন, ‘সড়কটির কাজ প্রায় শেষ। তবে করোনার কারণে মাঝখানে কাজের গতি কম ছিল। তাছাড়া বৃষ্টিতে আনন্দীপুর এলাকার নালায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় সড়কে পানি জমে যায়। একই সঙ্গে কয়েকটি জায়গায় পানি জমে বিটুমিনও ওঠে যায়। এগুলো আবারও সংস্কার করে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া সড়কটি এখনো ঠিকাদার বুঝিয়ে দেননি। কাজের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করেই ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেব।’

সর্বশেষ খবর