মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বর্জ্য থেকে হবে মিশ্র সার

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

বর্জ্য থেকে হবে মিশ্র সার

চর ঝাউগড়া, চর গোবাদিয়া ও রঘুরামপুরের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গড়ে উঠেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) সর্বশেষ ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড। তবে সিটির অন্তর্ভুক্তি হলেও সুযোগ-সুবিধা নামকাওয়াস্তে। স্থানীয়দের মতে, সবচেয়ে বড় সমস্যা সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। ময়মনসিংহ নগরী থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০০ টন বর্জ্য সৃষ্টি হচ্ছে।

শুধু এ এলাকাই নয়, সিটির সঙ্গে সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত নতুন ১২টি ওয়ার্ডই এখন ভুগছে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দ্রুত নগরায়ণ, বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং নাগরিক জীবনে দ্রুত বর্জ্যরে পরিমাণ প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে পুরনো ২১টি ওয়ার্ডে এ সমস্যা অনেকটাই কম। সচেতন নগরবাসীর মতে ক্লিনিক্যাল বর্জ্য, পয়ঃবর্জ্য ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এই তিন ভাগে ভাগ করে বিধিসম্মত উপায়ে বর্জ্য সংগ্রহ এখন সময়ের দাবি। তবে মসিক বলছে, উন্নয়নশীল দেশের যে কোনো শহরের বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করা যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্যই চ্যালেঞ্জ। জনবল এবং বাজেটের অপ্রতুলতা সত্ত্বেও উৎপাদিত বর্জ্যরে শতভাগ অপসারণ করপোরেশনের পক্ষ থেকেই করা হচ্ছে।

প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মুকতাদিরুল আহমেদ জানান, ‘পুরনো যানবাহন, যন্ত্রপাতি এবং লোকবল দিয়ে প্রায় ৯২ কিলোমিটারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে এসবের চাহিদা মেটানোর।’

মসিক সূত্র জানায়, গত এক বছরে ময়মনসিংহ সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার জন্য বিধিসম্মত উপায়ে মেডিকল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পয়ঃবর্জ্যরে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মিশ্র সার উৎপাদনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে অনেক কিছুই থমকে গেছে করোনার প্রাদুর্ভাবে।

জানতে চাইলে মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘নগরায়ণের চাপে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন প্রয়োজন। এমন উপলব্ধি থেকেই উৎপাদিত বর্জ্যকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ফিনল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতা স্মারকও হয়েছে। আশা করি নগরবাসী অল্প সময়ের মধ্যেই সুফল ভোগ করবে।’

 

সর্বশেষ খবর