মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজধানীতে ঘুড়ির কদর

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে ঘুড়ির কদর

করোনাভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কে রাজধানীর লাখ লাখ মানুষ এখন ঘরবন্দী। বিশেষ করে শিশুরা তো সেই মার্চের পর থেকেই অবরুদ্ধ। তাদের স্কুল বন্ধ। খেলার মাঠে ঘাস জমে একাকার। এই কঠিন সময়ে নগরজুড়ে ঘুড়ির চাহিদা বেড়ে গেছে। নগরীর অনেক বাড়ির ছাদে এখন নিয়মিত ঘুড়ির মেলা বসে। রাজধানীতে ঘুড়ির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনেক জায়গায় রীতিমতো বাজার বসে গেছে। উত্তরার রবীন্দ্র সরণিতে ‘কাবাব ফ্যাক্টরি’র সামনের সড়কে এখন নিয়মিত ঘুড়ির বাজার বসে। সেখানে ৮/১০টি অস্থায়ী দোকানে ভিড় করে ঘুড়ি কেনেন আগ্রহীরা। তরুণ-কিশোরদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও ঘুড়ি কিনতে আসেন। কাগজ কিংবা পলিথিনের তৈরি এসব ঘুড়ি বিক্রিও হয় বিভিন্ন দামে। দেশে তৈরি ঘুড়ির পাশাপাশি বিদেশি ঘুড়িও বিক্রি হয় এখানে। দাম ২০ টাকা থেকে শুরু। সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত। সঙ্গে আছে বিভিন্ন দামের সুতা ও নাটাই। বিকালে সেই ঘুড়ি ওড়ে উত্তরার আকাশে। প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত ও ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা গুনতে গুনতে ক্লান্ত মানুষের চোখেমুখে একটা আনন্দ বয়ে আনে এই ঘুড়িময় বিকাল। রঙিন ঘুড়ি মুগ্ধ করে ইট-পাথরের শহরে বন্দী মানুষকে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার আকাশের দিকে তাকালে দেখা যায়, নানা রং, নানা ঢংয়ের ঘুড়ি উড়ছে। ঘুড়িগুলো যেন বাতাসের সঙ্গে খেলায় মেতেছে। কোনো কোনো ঘুড়ি মেঘ ছুঁতে চায়, কোনোটাবা সুদূর নীলাকাশ। বাহারি ডিজাইনের এসব রঙিন ঘুড়ি যারা ওড়াচ্ছেন কেবল তারা আনন্দ পাচ্ছেন বা তাদের সময় কাটছে এমনটি নয়। ঘরবন্দী মানুষ বারান্দা, জানালা, ছাদে দাঁড়িয়ে দেখছেন এসব ঘুড়ি। ডানপিটে  শৈশবের স্মৃতি মনে করে নস্টালজিক হয়ে পড়ছেন। পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজারে সারা বছর শাঁখা, পিতল আর নানারকম পূজার সামগ্রী বিক্রি হলেও সাকরাইন উৎসবের আগে এটি হয়ে ওঠে ঘুড়ির গলি। এখানে স্থায়ী ঘুড়ির দোকান যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে মৌসুমি ঘুড়ির দোকান। শৌখিন ঘুড়ি প্রেমিকরা সেখান থেকেই ঘুড়ি সংগ্রহ করেন। ১২০০ বা ১৫০০ টাকারও ঘুড়ি মিলবে এখানে। একটু বড় আকারের চাইনিজ ঘুড়িগুলোর দাম কিছুটা বেশি। তবে বিক্রেতারা বললেন, এগুলো সাকরাইনের পরে সাজিয়েও রাখে অনেকেই। তবে করোনাকালে সারা নগরীতেই ছড়িয়ে পড়েছে ঘুড়ি ওড়ানোর আগ্রহ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর