মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

কন্ট্রোল রুমের করোনা সেবা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

কন্ট্রোল রুমের করোনা সেবা

‘আমি করোনা পজিটিভ। আমার একটা সার্টিফিকেট দরকার। এখন আমার কী করতে হবে।’ কিংবা ‘এক সপ্তাহ আগে আমি নমুনা দিয়েছি। এখনো আমার রেজাল্ট আসেনি।’ প্রতিদিনই এমন অসংখ্য কল আসে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে। একটি ল্যান্ড ফোন এবং দুটি মোবাইল নম্বরে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়েছে কন্ট্রোল রুমের নম্বর। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মরত আটজনকর্মী দিনরাত করোনা রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা শুরুর পর থেকে সবার করোনা বিষয়ক নানা তথ্য জানার প্রয়োজন পড়ে। এমন প্রয়োজনীয়তার মুখে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চালু হয় কন্ট্রোল রুম। এ কার্যালয়ে জনবল সংকট থাকায় উপজেলা থেকেও চারজনকে কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে যুক্ত করা হয়। বর্তমানে উপজেলার চারজন এবং জেলা কার্যালয়ের চারজন রাতদিন করোনার তথ্য প্রদান করে যাচ্ছেন। কন্ট্রোল রুমের নম্বরে কল করলে দায়িত্ব পালনকারীরা রোগীর তথ্য দিচ্ছেন। তারা রোগীর দৈনিক ডাটা তৈরির কাজ করছেন। তাছাড়া নির্ধারিত ফরমে আবেদনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে নেগেটিভ-পজিটিভ সার্টিফিকেট। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘প্রথম দিকে উপসর্গ, স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব বজায় এবং অসুস্থ হলে কী করতে হবেÑ এসব বিষয়ে কন্ট্রোল রুম থেকে তথ্য দেওয়া হতো। এখন নমুনা পরীক্ষা ও সেবাকেন্দ্র, করোনার রিপোর্ট প্রাপ্তি, সার্টিফিকেট প্রদান এবং দৈনিক ডাটা তৈরির কাজ করছে।’ কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বপালনকারী পটিয়া উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর প্রবীর মিত্র বলেন, ‘শুরুতে দৈনিক চার শত পর্যন্ত কল আসত। এখন রিপোর্ট অনলাইনে হওয়ার পর শতাধিক কল আসে। মূলত রিপোর্ট না পেলে খুঁজে দেওয়া, নেগেটিভ-পজিটিভ সার্টিফিকেট প্রদান এবং দৈনিক করোনা রোগীর ডাটা তৈরির কাজ করছি।’  বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী দীপা চৌধুরী বলেন, ‘একটি ল্যান্ড ফোন ও দুটি মোবাইল এক সঙ্গে বেজে ওঠে। একেক জন একেক ধরনের তথ্য চান। সবাইকেই চাহিত তথ্য দিতে চেষ্টা করি।’

সর্বশেষ খবর