মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

বিনোদনের আকাল সংস্কৃতির নগরীতে

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

বিনোদনের আকাল সংস্কৃতির নগরীতে

ময়মনসিংহ সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছালাকান্দি এলাকার কিশোর মোস্তাফিজুর রহমান। পড়াশোনা শেষে মূল সময়টা কাটে ডিজিটাল দুনিয়ায়। গেমিং অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই বিনোদনের প্রধান খোরাক তার। এমন অবস্থায় উদ্বিগ্ন তার অভিভাবকও।

মোস্তাফিজের পিতা শাহজাহান জানান, ‘স্মার্টফোন-ল্যাপটপের প্রতি  নেশা কিছুতেই কাটাতে পারছি না। মাঝে-মধ্যে বাইরে ঘুরতে যেতে চায়, কিন্তু আশপাশে ভালো  কোনো জায়গা না থাকায় নিয়েও যেতে পারি না।’

শুধু এই ওয়ার্ডটিই নয়, বিলুপ্ত পৌরসভার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হওয়া ১২টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ শিশু-কিশোরই এখন আসক্ত মোবাইল কিংবা ল্যাপটপে।

কারণ নেই বিনোদন ব্যবস্থা। অথচ এসব ওয়ার্ডে প্রায় চার লাখ মানুষের বসবাস। তাদের জন্য বিনোদন, অবকাশ উপভোগের কোনো কিছুই  নেই এই ওয়ার্ডগুলোতে।

যদিও ময়মনসিংহকে বলা হয় শিক্ষা ও সংস্কৃতির নগরী। কারণ, দেশের অন্য  যে কোনো জেলা শহরের চাইতে এই নগরীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক চর্চাও অনেক বেশি। কিন্তু শিক্ষা ও সংস্কৃতির এত বিকাশের পরও বিনোদন  কেন্দ্র নেই। ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ‘পুরাতন নগরীতে মাত্র একটিই বিনোদন কেন্দ্র। সেটিও পর্যাপ্ত নয়। সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘নগরীর তিনটি প্রান্তে ছোট-বড় তিনটি পার্কের পরিকল্পনা করছি। খুব দ্রুতই চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হবে।’

সর্বশেষ খবর