মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সবুজে ভরে উঠছে ছাদ-বেলকনি

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

সবুজে ভরে উঠছে ছাদ-বেলকনি

কুমিল্লা নগরীর ছাদ ও বেলকনিগুলো সবুজে ভরে উঠছে। ছাদে ও বেলকনিতে বিভিন্ন ফুল ও ফলের সঙ্গে চাষ হচ্ছে লাউ, কুমড়া ও শিমসহ বিভিন্ন সবজি। একসময় সব ছাদ-বেলকনিতে ফুটবে গোলাপ, রজনীগন্ধা ও বেলি। চোখ জুড়াবে ফুলের সৌন্দর্যে, খাদ্য তালিকায় যোগ হবে নিজ বাগানের তাজা শাক-সবজি ও ফল। এমন স্বপ্ন নিয়েই পথ চলা শুরু ফেসবুকভিত্তিক ছাদবাগানীদের সংগঠন কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটি। সবুজে থাকুন, সবুজে বাঁচুনÑ এই স্লোগান নিয়ে ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট সংগঠনটি শুরু। ২০০ সদস্য নিয়ে শুরু করা সংগঠনের সদস্য এখন ১৭ হাজার। ছাদবাগানীদের বাগানের নানা সমস্যায় পরামর্শ, নিজেদের মাঝে গাছের আদান-প্রদান করে থাকে সংগঠনটি। নতুন বাগানী সৃষ্টির প্রয়াসে প্রতি মাসেই নতুন বাগানীদের সবুজ উপহার দেওয়া হয়।

সোসাইটির সদস্য ডা. নার্গিস আক্তার বাগান করছেন প্রায় ২০ বছর। নগরীর ঠাকুরপাড়ায় ছাদে গড়ে তুলেছেন বাগান। তিনি জানান, দিনভর অফিস, চেম্বার শেষ করে যত ব্যস্ততা থাকুক রাতে ফিরেও বাগান  দেখাশোনা করেন। নিজের পারিবারিক চাহিদার সবজির প্রায় সবটাই মিটে যায় বাগান থেকে। ছবি তুলে সেসব তিনি পোস্ট করেন কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির পেইজে। 

শহরের ঢুলিপাড়ায় বাগান সালমা আমীনের। তিনি জানান, কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির সহযোগিতায় আমার বাগানটি কলেবরে বাড়ছে। প্রায় দেড়শ’র বেশি ফল ও ফুল গাছ রয়েছে বাগানে। নিজের পরিবারের চাহিদা বাগান থেকেই সিংহভাগ মিটে যায়।

শুধু শহর নয়, কুমিল্লা জেলার প্রায় উপজেলার বাগানীরাই এর সদস্য। লাকসামের বাসিন্দা রবিন খাইরুল আনাম জানান, কুমিল্লা গার্ডেনার্স  সোসাইটির একজন সদস্য তিনি। এত সবুজ উপহার খুব কম প্ল্যাটফর্ম দিয়ে থাকে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এডমিন ডা. আবু নাঈম কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজের প্রভাষক। তার বাগানে পাঁচ শতাধিক গাছ রয়েছে। দেশ-বিদেশের অর্কিড, দু®প্রাপ্য গাছ, লতানো গাছ, ইনডোরের গাছ, ফল গাছ দিয়ে নিজের বাড়িটি সাজিয়েছেন। তিনি জানান, তিনিসহ বর্তমানে সংগঠনটির এডমিন মডারেটর আছেন আরও ছয়জন। ডা. তালেয়া  চৌধুরী, তাওহিদা আক্তার, রায়হান আবেদীন, শারমিন আক্তার, কামরুন নাহার মিমি, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ মোসলেহ উদ্দীনসহ একঝাঁক উদ্যমী বাগানী সংগঠনটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

প্রতি বছর দুই-তিনটি ইভেন্টের আয়োজন করে সংগঠনটি। যা এক প্রকারের মিলনমেলা। বাগানীদের উৎসাহ দিতে সংগঠনটি আয়োজন করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, বছরজুড়ে জমজমাট থাকে গ্রুপটির দেয়াল।

কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম জানান, অনলাইনভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির উদ্যোগ সুন্দর। সবার সম্মিলিত উদ্যোগে কুমিল্লা নগরীর ছাদ-বেলকনি সবুজে ভরে উঠুক এই প্রত্যাশা করছি।

সর্বশেষ খবর