মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

রংপুরে বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতা

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুরে বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতা

বৃষ্টি মানেই রংপুর মহানগরীতে জলাবদ্ধতা। এটি যেন প্রবাদবাক্যে পরিণত হতে বসেছে। নগরীর এমন কোনো সড়ক, পাড়া-মহল্লা নেই যেখানে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা হয়নি। পরিকল্পিত নগরায়ন না হওয়ায় এই জলাবদ্ধতা। এ নিয়ে নগরবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সামান্য বৃষ্টিতে নিচু এলাকাগুলো হাঁটুপানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। অনেক এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমছে। তবে সিটি করপোরেশন বলছে, নগরীর অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ হলেই নগরীতে জলাবদ্ধতা কমে যাবে।

সামান্য বৃষ্টির পানিতে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের বেশির ভাগ এলাকার সড়কসহ বাসাবাড়িতেও মারাত্মক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। নগরীর কামারপাড়া, মুলাটোল, কামালকাছনা, শাহীপাড়া, বাবুখঁাঁ, হাবিবনগর, ধাপ হাজীপাড়া, আমাশু কুকরুল, জুম্মাপাড়া, সিটি বাজার, মুন্সিপাড়া বরকতিয়া মসজিদ, গোমস্তাপাড়া, টার্মিনাল এলাকা, আরপিএমপি কোতোয়ালি থানার সম্মুখ সড়ক, তাঁতিপাড়া, মাছুয়াপাড়া, রবার্টসন্সগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায় পানি জমে। কোথাও পানিবন্দী হয়েছে অনেক পরিবার। এতে দুর্ভোগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শহরের সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতায় ব্যাহত হয় যানবাহন চলাচল। হাঁটুপানি ভেঙে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। নগরীর বিভিন্ন মহল্লাসহ বর্ধিত এলাকার ছোট-বড় পুকুর, খাল, নালা পানিতে ডুবে গেছে। একই অবস্থা শহরতলির নিচু এলাকাগুলোতেও।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি ম-ল বলেন, একদিনের বর্ষণেই নগরীর বেহাল অবস্থা। আসলে মেয়র আমাদের নাগরিক সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। অনেক এলাকার বাসিন্দাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। রংপুর নগরী সাজাতে ও পরিচ্ছন্ন রাখতে বর্তমান মেয়রের কোনো পরিকল্পনাই নেই। রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহামুদুর রহমান টিটু বলেন, আমার এলাকায়ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজগুলো শেষ হলে জলাবদ্ধতা কিছুটা কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

সর্বশেষ খবর