মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

শালবন বিহারে সবজি চাষাবাদ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

শালবন বিহারে সবজি চাষাবাদ

কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের পরিত্যক্ত জায়গায় ২০ প্রকার শাক-সবজির চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া ২৫ রকমের ভেষজ উদ্ভিদ লাগানো হয়েছে। উৎপাদিত সবজি প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়সহ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আশপাশের নিম্নবিত্তের প্রায় ২৫০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

করোনার কারণে শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘর দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ। কর্মচারীদের মাঝে মাঝে ঘাস, লতা-পাতা পরিষ্কার করা ছাড়া তেমন কোনো কাজ নেই। এদিকে কর্মকর্তারাও অলস বসে আছেন। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় তারা সবজি চাষ করবে। পরিত্যক্ত স্থানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবজি চাষ শুরু করেন। তা নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি পাশের নিম্নবিত্তের লোকজনকে দেওয়া হচ্ছে। এখানে মিষ্টিকুমড়া, লাউ, চালকুমড়া, ঢ্যাঁড়শ, করলা, পুঁইশাক, কলমি শাক, ঝিঙ্গা, শসা, কচু ও কাঁকরোল প্রভৃতি চাষ করা হচ্ছে। স্থানীয় সালমানপুর গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, এখন আয়-রোজকার কম। শালবনের সবজি পেয়ে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। এদিকে শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘর আঙিনায় ভেষজ গাছ লাগানো হয়েছে। যা করোনা, টাইফয়েড, ডেঙ্গু, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগপ্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তা হচ্ছে তিন প্রজাতির তুলসী, চিরতা, বাসক, আকন্দ, অ্যালোভেরা, পাথরকুচি, পুদিনা, থানকুনি, অশ্বগন্ধা, ল্যামনগ্রাস, চুকাই, কাসাভা, লেবু, নিসিন্দা, সজনে, মেন্দি, নিম, গায়নুরা, শিউলি, পেঁপে, আনারস, আখ, বেল, ১০ প্রকার জবা, অপরাজিতা, নয়নতারা, তোকমা, খানমান, হলুদ, আদা ইত্যাদি।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খালি ভূমিতে উৎপাদনের আহ্বানের পর আমরা কাজ শুরু করি। ফাঁকা পরিত্যক্ত জায়গায় ২০ প্রকার শাক-সবজি উৎপাদিত হয়। তা প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, পাশের বিভিন্ন অফিসসহ আশপাশের প্রায় ২৫০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আমার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার স্বপ্না এবং সন্তানরাও সবজি এবং ভেষজ উৎপাদনে সময় দিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর