মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সৌন্দর্যবর্ধনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

সৌন্দর্যবর্ধনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের সৌন্দর্যবর্ধন করতে গিয়ে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ এবং নকশাবহির্ভূত স্থাপনা উচ্ছেদ করছে। ইতিমধ্যে নগরের তিনটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর আগে গত ২০ আগস্ট চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ফুটপাথে মানুষের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সব স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দেন। 

২০১৬ সালে জামালখান রোড ডিভাইডারে সবুজায়নের মাধ্যমে চসিক নগরের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করে। পরে নগরের ৪২টি সড়ক-ফুটপাথ-গোলচত্বর ও আইল্যান্ডে ৩৫টি প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করে। এ কাজ করতে গিয়ে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো নকশাবহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণ এবং সড়ক বিভাজকে সৌন্দর্যবর্ধনের আওতায় সবুজায়নের মাঝে বিভিন্ন সংস্থার পণ্যের বিজ্ঞাপন ডিজিটাল সাইন স্থাপন করার অভিযোগ ওঠে। 

অভিযোগ আছে, সৌন্দর্যবর্ধনের নামে নগরের গুরুত্বপূর্ণ ফুটপাথ-সড়ক-নালা দখল করে দোকান, নালার ওপর ফিশ অ্যাকুরিয়াম, রেস্টুরেন্ট, খাবার দোকান, ফার্মেসি, যাত্রী ছাউনিতে স্টল, এটিএম বুথ, ফুটব্রিজে স্টল, গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে দোকান, গণশৌচাগার ও ডিজিটাল স্ক্রিন স্থাপন করে। রাজনৈতিক বিবেচনায় নেতা-কর্মী, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমকর্মীর প্রতিষ্ঠান এসব কাজ পায়। 

চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘সৌন্দর্যবর্ধনের নামে সড়ক-ফুটপাথ-নালা দখল করে যেসব স্থাপনা নির্মিত হয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সাগরিকা রোড ও নিউমার্কেটের তিনটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। মানুষের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী কোনো স্থাপনা থাকবে না। তিনি বলেন, ‘সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে হওয়া চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করে আইন বিভাগ একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রবর্তক মোড় থেকে মক্কি মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশ ও রোড ডিভাইন সৌন্দর্যবর্ধন করতে গিয়ে মসজিদের সামনে সামান্য জায়গায় সবুজায়ন করে বাকি ফুটপাথে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্টুরেন্ট ও ফার্মেসি। জিপিওর সামনের ফুটপাথে পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে দুটি যাত্রী ছাউনি (কয়েকদিন আগে এগুলো উচ্ছেদ করা হয়), প্রতিটি ছাউনির সঙ্গে ছিল দুটি করে দোকান। হেলদি ওয়ার্ড খ্যাত জামালখান রোডে ফুটপাথ এবং নালার ওপরে পিলার দিয়ে ফুটপাথকে সংকুচিত করে নির্মাণ হয়েছে ফিশ অ্যাকুরিয়াম এবং অ্যাকুরিয়াম সম্পৃক্ত পণ্য বিক্রির দোকান। ষোলশহর দুই নম্বর গেটে বিপ্লব উদ্যান ছিল উন্মুক্ত।

সেখানে ছিল সবুজ বাগান। সবুজ ধ্বংস করে নির্মিত হয়েছে দোতলা ভবন ও ৩৫টি দোকান। আগ্রাবাদ জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের সামনের রোডে কোনো গণপরিবহন চলাচল না করলেও সেখানে নির্মিত হয়েছে একটি যাত্রী ছাউনি ও দোকান। চসিক সূত্র জানায়, নগরের সৌন্দর্যবর্ধন কাজগুলো নিয়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর