মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্ট্যান্ড রোডেই নাকাল নগরবাসী

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

স্ট্যান্ড রোডেই নাকাল নগরবাসী

চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক সদরঘাট স্ট্যান্ড রোড। সদরঘাট থেকে শুরু হয়ে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৩ কিলোমিটার। এ সড়কের পাশে আছে বন্দরের ৬টি জেটি। বন্দর দিয়ে আসা বিভিন্ন পণ্য লাইটার জাহাজ থেকে স্ট্যান্ড রোড সংলগ্ন জেটি দিয়ে খালাস হয়। আছে সরকারি একটি তেল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়, গার্মেন্ট ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। এ সড়ক সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর একাধিক ঘাট দিয়েই বোট-জাহাজ থেকে পণ্য তোলার পর ব্যবহার করে সড়কটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায়। পণ্যবাহী পরিবহন, পথচারী এবং স্থানীয়দের যেন দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা পিছু ছাড়ছে না। ছোট-বড় গর্তে ভরপুর সড়কটি। বর্ষায় সড়কটি কাদার সড়কে রূপ নেয় এবং রোদে ওড়ে ধুলাবালি। এক স্ট্যান্ড রোডেই নাকাল পুরো এলাকা। নাকাল সড়কে ঘটে দুর্ঘটনা। সর্বশেষ গত ২৯ আগস্ট রশিদ বিল্ডিং মোড় এলাকায় একটি খালি ট্রাক দেবে যায়। পরে ক্রেন দিয়ে ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। এমন ঘটনা নিত্যদিনের। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের সড়কগুলো মেরামত করে। 

চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘নগরের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক সদরঘাট স্ট্যান্ড রোডটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে আছে। তবে এখন ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকায় জাইকার অর্থায়নে সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। কাজের গুণগতমান ঠিক রেখে জনদুর্ভোগ লাঘব হয়, এভাবে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর যেসব সড়ক ও মহাসড়ক সরাসরি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত, সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বন্দর কর্তৃপক্ষের অংশীদারিত্ব ও সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে কাজে অর্থ সংকট দেখা দেবে না।’

চসিক সূত্রে জানা যায়, জাইকার অর্থায়নে দুইটি প্যাকেজে সড়কটির উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। চসিক ২০১৮ সালের ১৭ মে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকায় সড়কটির উন্নয়ন ও ড্রেন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া আরেকটি প্যাকেজে সড়কটির পুরনো কাস্টমসের সামনে ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রশস্ত একটি এবং ১৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৫ ফুট প্রশস্ত আরেকটি ব্রিজ নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। তবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয়নি। বাকি আছে একটি ব্রিজের একাংশের কাজ। সংস্কার কাজ ধীরগতিতে চলায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

 

সর্বশেষ খবর