শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সৌন্দর্য ফেরাতে মেয়র লিটনের উদ্যোগ

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

সৌন্দর্য ফেরাতে মেয়র লিটনের উদ্যোগ

দেশের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন শহর রাজশাহী। বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কণা দ্রুত কমিয়ে আনতে বিশে^র সেরা শহর রাজশাহী। সড়ক বিভাজক, সড়ক দ্বীপে এবং ফুটপাথে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির নানান রঙের ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে নগরী। যা রাজশাহীতে ঘুরতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সবার নজর কাড়ছে। এই কার্যক্রম তদারকি করছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। 

২০০৮-২০১৩ সময়কালে প্রথমবার মেয়র হয়ে নগরীকে সবুজে পরিণত করতে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ‘জিরো সয়েল প্রকল্প’ নামক সবুজায়ন প্রকল্প করে সিটি করপোরেশন। পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব ঠেকাতে শহরের রাস্তা ও ফুটপাথ বাদে অবশিষ্ট ফাঁকা জায়গা সবুজ গাছে ঢেকে দিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে সবুজ হয়েছে শহরের প্রায় ২৪ কিলোমিটার রাস্তার সড়ক বিভাজক ও সড়ক দ্বীপ। নগরীর প্রধান সড়ক বিভাজক, সড়ক দ্বীপে এবং ফুটপাথে লাগানো হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধক গাছ। এইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাম, রঙ্গন, কাঠ করবি, চেরি, অ্যালামুন্ডা, জারুল, সোনালু, বকুল, কৃষ্ণচূড়া, মহুয়া, হৈমন্তী, রাধাচূড়া, কাঞ্চন ইত্যাদি। ফলে বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ক্ষুদ্র ধূলিকণা মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি পুরো নগরীর সৌন্দর্যও বেড়েছে। নগরীর চারদিকে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। পদ্মার চরে সবুজ বনায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বায়ু দূষণরোধে নগরীতে ডিজেলচালিত অটোরিকশার বদলে ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালুর ব্যবস্থা করেছে। কিছু সড়কে ইতিমধ্যে পরিবেশবান্ধব সোলার সিস্টেমের সড়ক বাতি জ্বলছে। পরিবেশ রক্ষার্থে নগরীর সব পুকুর সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে রাসিক। আরও ২২টি পুকুর ঘিরে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সিটি করপোরেশন। এসব পুকুরের পাড় বাঁধানো, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে সেগুলোকে বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০২০ সালে ফাঁকা জায়গা এবং রাস্তার বিভাজন ও ফুটপাথে বৃক্ষরোপণের কার্যক্রম চলছে। গত আগস্ট পর্যন্ত সড়ক বিভাজন ও ফুটপাথে প্রায় ছয় হাজার ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। গাছগুলোর মধ্যে আছে পলাশ, শিমুল, জারুল, কাঞ্চন, সোনালু, কৃষ্ণ চূড়া, বকুল, ছাতিম ও মহুয়া ইত্যাদি। আলিফ লাম মিম ভাটার মোড় থেকে বুধপাড়া পর্যন্ত নবনির্মিত সড়ক বিভাজকে ও ফুটপাথে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার জন্য ৪০ জন কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রায় ৭৫২০টি ফলদ ও ঔষধি গাছ জনগণের মাঝে বিতরণ করে রোপণ করা হয়েছে। রাসিকের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ-উল-ইসলাম জানান, মেয়রের পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনায় একটি পরিকল্পিত পরিচ্ছন্ন, সবুজ, পরিবেশবান্ধব নগরী গড়তে আমরা উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

সর্বশেষ খবর