মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ফার্মেসি চলছে ফার্মাসিস্ট ছাড়াই

আফজাল, টঙ্গী

ফার্মেসি চলছে ফার্মাসিস্ট ছাড়াই

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নির্দেশনা না মেনে ড্রাগ লাইসেন্স ও প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট ছাড়াই চলছে শত শত ফার্মেসি। ড্রাগ লাইসেন্স ও ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এসব ফার্মেসি থেকে দেদার বিক্রি হচ্ছে যে কোনো প্রকারের ওষুধ। যার ফলে জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এসব ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ। অনেকেই এসব ফার্মেসির ওষুধ খেয়ে নানারকম স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়ছেন। ওষুধ বিক্রেতাদের অনেকে নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বেড়ান এবং নিজেই রোগীদের চিকিৎসা করেন। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নেই এমন কেউ ফার্মেসি বা ওষুধের দোকানে ওষুধ কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না বলে কঠোর নির্দেশনাও রয়েছে। অথচ এসব নিয়ম কিছুই মানছেন না কেউ।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নগরজুড়ে শত শত ফার্মেসি রয়েছে, এর মধ্যে কিছু সংখ্যক ছাড়া বেশির ভাগ ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের নেই ফার্মাসিস্ট, নেই ড্রাগ লাইসেন্স। লাইসেন্সবিহীন এসব ফার্মেসিতে অদক্ষ বিক্রয় প্রতিনিধি দিয়ে ওষুধ বিক্রি করে আসছেন। অনেকেই কোনো এক ওষুধের দোকানে কিছু দিন কাজ করে কিছু ওষুধের নাম শিখে নিজেই শুরু করেন ওষুধ ব্যবসা। আবার অনেকেই নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেন। অলিতে-গলিতে এসব ফার্মেসিতে আসা রোগীরা ওষুধ বিক্রেতার হাতে চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই মৃত্যুর মুখে পড়ছেন। নিয়ম রয়েছে যাদের ফার্মাসিস্ট সনদ রয়েছে শুধু তাদেরই ড্রাগ লাইসেন্স দেওয়া হবে। অথচ নগরীর শত শত ওষুধ ফার্মেসিতে নেই ড্রাগ লাইসেন্স, নেই ফার্মাসিস্ট। মানসম্পন্ন ওষুধ এবং ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি করতে ইতিমধ্যে ফার্মেসি এবং ওষুধের দোকান স্থাপন ও পরিচালনার জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে সরকার। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী লেভেল-১ ফার্মেসি ওষুধের দোকানে থাকবেন কমপক্ষে একজন স্নাতক ডিগ্রিধারী ফার্মাসিস্ট। তাছাড়া লেভেল-২ ফার্মেসি ওষুধের  দোকানে থাকবেন কমপক্ষে ডিপ্লোমাধারী ফার্মাসিস্ট।

এ বিষয়ে টঙ্গী ওষুধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম এ আবদুল লতিফ বলেন, অনেকের ফার্মাসিস্ট  সার্টিফিকেট রয়েছে কিন্তু সরকারিভাবে ড্রাগ লাইসেন্স নেই, এগুলো পর্যায়ক্রমে হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, করোনার সময় ওষুধ ব্যবসায়ীরাই রোগীদের সেবা দিয়েছেন। কোনো ডাক্তার, হাসপাতাল কিংবা নিজস্ব চেম্বারে কাউকে পাওয়া যায়নি। জ্বর, ঠান্ডাজনিত রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ফার্মেসি থেকে।

গাজীপুর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক মরুময় সরকার বলেন, গাজীপুরে ২৫/২৬’শ ফার্মেসির লাইসেন্স রয়েছে। যাদের নেই সে বিষয়ে ডিসি সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর