মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ড্রেনের পাশে দৃষ্টিনন্দন সড়ক

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

ড্রেনের পাশে দৃষ্টিনন্দন সড়ক

রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন ফোর লেন সড়কের পাশে প্রশস্ত ড্রেন ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ড্রেন নির্মাণকাজ চলছে। সহজে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার ও কাদামাটি উত্তোলন করতে ১০টি বড় ড্রেনের পাশে ১০টি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এসব সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দনভাবে। নগরীর আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় থেকে ছোট বনগ্রাম, মেহেরচ-ী, বুধপাড়া, মোহনপুর হয়ে বিহাস পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭৯৩ কিলোমিটার ৪ লেন সড়কের দুই পাশে, বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত, উপশহর থেকে রানীবাজার, কল্পনা সিনেমা হলের মোড় থেকে তালাইমারী, মনিচত্বর থেকে সদর হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৯৩ কোটি ২৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকল্পের আওতায় ৬ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার প্রাইমারি, ১৯ দশমিক ২৯ কিলোমিটার সেকেন্ডারি এবং ৬৭ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার টারশিয়ারি নর্দমা নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। নগরীর চালনা স্লুইস গেট থেকে গোলজারবাগ গুড়িপাড়া উত্তরপাড়া মসজিদ ও সাধুর মোড় অর্কিড ছাত্রাবাস থেকে বালিয়াপুকুর বড় বটতলা মোড় পর্যন্ত ড্রেনের পাশে ১ দশমিক ২৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। বন্ধগেট রেল লাইন থেকে মহিলা কর্মজীবী হোস্টেল হয়ে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স পর্যন্ত ড্রেনের পাশে দশমিক ৭৯ কিলোমিটার, ছোটবনগ্রাম রেল অফিস থেকে শালবাগান মোড় পর্যন্ত ড্রেনের পাশে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার, বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে টিকাপাড়া ঈদগাহ পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও টিকাপাড়া কবরস্থানের উত্তর পাশ থেকে ওলির বাড়ি হয়ে শিরোইল মঠপুকুর মোড় পর্যন্ত ড্রেনের পাশে ১ দশমিক ১৪ কিলোমিটার, হেতেম খাঁ ডা. জোবাইদা মেমোরিয়াল স্কুল থেকে কবির ফার্মেসি পর্যন্ত, ডিঙ্গাডোবা সিটি বাইপাশ থেকে রাহেল মোল্লার মোড় পর্যন্ত ড্রেনের পাশে দশমিক ৫০ কিলোমিটার, তেরখাদিয়া সিলিন্দা কালভার্ট থেকে রাজশাহী বাইপাশ পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২.০৫ কিলোমিটার, ছোটবনগ্রাম পূর্বপাড়া মসজিদ থেকে বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দশমিক ৭৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এসব সড়ক দৃষ্টিনন্দন হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। ড্রেনের পাশের এমন সড়কগুলো দেখে পথচারীরা মুগ্ধ হচ্ছেন। সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ড্রেনের পাশে দৃষ্টিনন্দন সড়ক নির্মাণের কারণ হলো, মানুষ চলতে গিয়েও যেন কিছুটা বিনোদন পায়।

সর্বশেষ খবর