মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

রাত ১০টায়ও নগরীতে যানজট

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

রাত ১০টায়ও নগরীতে যানজট

কুমিল্লা নগরীর যানজট ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে! যুগের পর যুগ নগরবাসী যানজটের দুর্ভোগে অতিষ্ঠ হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। দিনের পাশাপাশি রাত ১০টায়ও নগরীর কান্দিরপাড়, নিউমার্কেট, মনোহরপুর, চকবাজার, রাজগঞ্জ ও শাসনগাছায় যানজট  লেগেই থাকে।

সূত্র মতে, কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, টমছমব্রিজ, রাজগঞ্জ, জাঙ্গালিয়া ও চকবাজার এলাকায় প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগেই থাকে। যানজটের দুর্ভোগের ভয়ে অনেকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে আসতে চান না। এ জন্য যত্রতত্র রিকশা, ব্যাটারিচালিত ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ডকে দায়ী করা হচ্ছে। কয়েকটি মার্কেটের বেজমেন্টে  গাড়ি পার্কিং না করে সেখানে স্টোর ও দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে। মার্কেটের সামনে গাড়ি রাখায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও পার্কিংয়ে বেশি ফি রাখায় সড়কেই গাড়ি রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া লাকসাম রোডের সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড, টাউন হলের সামনে ফুটপাথে হকার মার্কেট ও ভ্রাম্যমাণ ভ্যান রিকশার হকারের কারণেও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক স্থানে শুধু ফুটপাথ নয় সড়কও দখল করে ব্যবসা করা হচ্ছে। এই দৃশ্য বেশি চোখে পড়ে রানীর বাজার সড়কের মুখে ও মনোহরপুরের সাত্তার খান ও খন্দকার হক টাওয়ার এলাকায়।

 নগর পরিকল্পনাবিদ জি এম সিকান্দার বলেন, নগরীর যানজট নিরসনে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন। অনেক স্থানে রাস্তার ওপরে দোকান ও মার্কেট গড়ে ওঠায় রাস্তা সরু হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসনে ফুটপাথের হকার উচ্ছেদ এবং কিছু লিংক রোড চালু করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ী নেতা শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, যানজট কুমিল্লা নগরীর জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজটের কারণে বাইরের লোকজন নগরীতে আসতে চায় না। পুলিশ প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ের মাধ্যমে যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

কুমিল্লার প্রবীণ খাদি ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার রাহা কান্তি বলেন, কুমিল্লা নগরীজুড়ে সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। যার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে এগুলোকে নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডে নেওয়া উচিত।

কুমিল্লার ট্রাফিক পরিদর্শক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, কুমিল্লা নগরীতে সিএনজি অটোরিকশার নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নেই। যত্রতত্র স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া রয়েছে অনুমতিবিহীন ইজিবাইক ও রিকশা। এতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনসহ সিভিল প্রশাসনের ভূমিকা প্রয়োজন। লাকসাম রোডে ইজি, টপটেনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুম গড়ে উঠেছে। তাদের পার্কিং ব্যবস্থা নেই। ক্রেতারা তাদের গাড়ি রাস্তায় রাখছে। ট্রাফিক পুলিশ একা কিছু করতে পারবে না। তিনি বলেন, কান্দিরপাড়ে দুজন অফিসারসহ আমাদের ১০ জন সদস্য প্রয়োজন। দুই শিফটে আছে মাত্র চারজন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর