মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বদলে যাচ্ছে ঐতিহ্যের সোনাদীঘি

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

বদলে যাচ্ছে ঐতিহ্যের সোনাদীঘি

রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে। সোনাদীঘিকে এখন অন্তত তিন দিক থেকে দেখা যাবে। দীঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হবে হাঁটার পথসহ মসজিদ, এমফি থিয়েটার (উন্মুক্ত মঞ্চ) ও তথ্যপ্রযুক্তি পাঠাগার।

একসময় সোনাদীঘি ছিল অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র। সোনাদীঘির চারপাশ উন্মুক্ত ছিল। এর পানি এতটাই স্বচ্ছ ছিল যে, তা দিয়ে এলাকাবাসীর রান্নার কাজও চলত। পানিতে যাতে কেউ ময়লা ফেলতে না পারে, তা তদারকিতে থাকতেন পৌরসভার কর্মচারীরা। পদ্মা নদীর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত ছিল দীঘি। ভরা বর্ষায় পদ্মার পানি ঢুকত দীঘিতে। ঘোলা পানি থিতিয়ে গেলে দেখা মিলত স্বচ্ছ পানির। ১৯৮০-৮১ সালের দিকে সোনাদীঘির চারপাশে স্থাপনা নির্মাণ শুরু হয়। ঢাকা পড়ে সোনাদীঘির মুখ। রাস্তার আড়ালে চলে যায় সোনাদীঘি।

সোনাদীঘির হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ২০০৯ সালে প্রথম উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি)-এর আওতায় একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৬ তলা বিশিষ্ট ‘সিটি সেন্টার’ নির্মাণ ও সোনাদীঘিকে সাজানোর চুক্তি করে সিটি করপোরেশন। মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রথম মেয়াদে নির্মাণকাজ এগোলেও পরবর্তী ৫ বছর কাজ বন্ধ হয়ে থাকে। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে সিটি সেন্টার ও সোনাদীঘির আগের কাজ শুরু করেন সিটি মেয়র।

মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা, মসজিদ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সোনাদীঘিকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। বৈধ ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে পুনর্বাসন করা হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোনাদীঘি মসজিদকে সিটি সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এরপর শুরু হয় স্থাপনা ভাঙার কাজ। নির্মাণকাজ ও সাজানো শেষে সিটি সেন্টার হবে অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র আর সোনাদীঘি হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র। সোনাদীঘিকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার পুরো চিত্রই পাল্টে যাবে। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি পুরো বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরাও এর সুফল ভোগ করবেন। এই দীঘির চারপাশে পর্যাপ্ত বসার জায়গা রাখা হবে। পরিবার নিয়ে মানুষ সেখানে বসবে। উপভোগ করবে স্বচ্ছ পানির জলাধার। রাতে আলোকায়ন থাকবে। থাকবে ফোয়ারা। তিন দিক থেকে সোনাদীঘিকে দেখা যাবে।

 

সর্বশেষ খবর