শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

কংক্রিটের শহরে বায়েজিদ সবুজ উদ্যান

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

কংক্রিটের শহরে বায়েজিদ সবুজ উদ্যান

পুরো আঙিনাই সবুজের সমারোহ। মাটিতে সবুজ ঘাস। ঘাসের ফাঁকে ফাঁকে বৃক্ষ। বৃক্ষের ঢালের সঙ্গে আলিঙ্গন করছে শিশুরা। সন্ধ্যা নামলেই জ্বলে উঠছে নানা রঙের বাতি। বাতির আলো প্রকৃতির সবুজকে দিচ্ছে অন্যরূপ। কখনো রঙধনু, কখনো আলো-আঁধারির খেলা। চট্টগ্রাম নগরের সেনানিবাস সড়কের পাশেই ‘বায়েজিদ সবুজ উদ্যান’ পার্কটির এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য যার পরনাই খুশি করছে দর্শনার্থীদের। যেন ইট-কংক্রিটের এই শহরের বুকে এক টুকরো সবুজ। ঘাস, বৃক্ষ, ফুল, পানির ফোয়ারা, আলোর ঝিলিক- সব মিলিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার দৃষ্টিনন্দন নৈসর্গিক অঙ্গন। গত বছরের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম গণপূর্ত সার্কেল-১ এর উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। পার্কের দর্শনার্থী গৃহবধূ ফজিলাতুন নেছা বলেন, পড়ন্ত বিকালে মেয়েকে নিয়ে সবুজ এই পার্কে বেড়াতে এলাম। পার্কের প্রতিটি বৃক্ষ, ফুল, পানির ফোয়ারা বেশ দৃষ্টিনন্দন। পার্কের ভিতরের ‘শিশু বিনোদন’ অংশটিতে শিশুরা নিজের মতো করে খেলতে পারছে। গণপূর্ত সার্কেল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ বলেন, নাগরিক জীবনে সবাই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চাই। তাই সব বয়সী ও শ্রেণি পেশার মানুষের ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি ও শরীর চর্চার জন্য সবুজ উদ্যানটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ১১টা এবং বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এটি সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকে। পার্কে শুক্র-শনিবারসহ বন্ধের দিন হাজারের বেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই এটি বেশ সাড়া ফেলেছে সবার কাছে।

গণপূর্ত সার্কেল-১ সূত্রে জানা যায়, নগরের বায়েজিদে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রায় ১ দশমিক ৯ একর জায়গায় নির্মিত হয় পার্কটি। ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সবুজ উদ্যানটি গত বছরের ৮ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়। পার্কে আছে ২টি সুদৃশ্য ফটক, চার হাজার ফুটের ওয়াকওয়ে ও বোর্ড চেয়ার, একক বেঞ্চ ৩৯টি, দ্বৈত ৭টি, ৬০ ফুট ব্যাসের জলাধার, জলাধারে রাখা হয়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট পানি, পুরো উদ্যানে আছে ১০৮টি কম্পাউন্ড লাইট, ১৬টি গার্ডেন লাইট ও ৫৫টি ফাউন্টেন লাইট।

পার্কে আসা নারী-পুরুষের জন্য আছে পৃথক টয়লেট। বাগানে সবুজ ঘাস ও গাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি ছিটানোর জন্য আছে ৬০টি স্প্রিঙ্কলার। শিশুদের জন্য আছে কিডস জোন, স্লিপার, দোলনা ও রং-বেরঙের পানির ফোয়ারা। আছে ৪১ প্রকারের নানা জাতের গাছ ও বাহারি ফুলের বাগানে সু-সজ্জিত। নিরাপত্তায় আছে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা এবং ১ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সীমানা প্রাচীর। সার্বক্ষণিক থাকেন নিরাপত্তাকর্মী।

সর্বশেষ খবর