রাজশাহী মহানগরীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাস্তার পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য খাবার দোকান। এই খাবার খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে জনসাধারণ। দীর্ঘদিন থেকে এমন পরিবেশে খাবার বিক্রি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বা অভিযান দেখা যায় না।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার ফুটপাথে খোলা আকাশের নিচে, ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে কেউ কোনোরকম ঘর তুলে অপরিচ্ছন্নভাবে নানারকম খাবার বিক্রি করছে। এসব তালিকায় আছে ভাত, মাছ-মাংস, সিঙ্গারা, রুটি, বার্গার, শিককাবাব, হালিম, ফুচকাসহ নানা ধরনের খাবার। এসব খাবার খেয়ে শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষ পেটের পীড়াসহ নানা রোগে ভুগছেন। করোনার প্রকোপে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও লকডাউন তুলে নেওয়ার পর আবারও চালু হয়েছে এই হোটেলগুলো।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের হোটেলগুলোতেও দেখা গেছে একই চিত্র। রাস্তার পাশে বানানো হচ্ছে রুটি। পাশেই বিভিন্ন পাত্রে খোলা অবস্থায় রাখা হয়েছে ভাত-তরকারি। পানির ড্রামও আছে মুখ খোলা অবস্থায়। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই খেতে বসছেন ক্রেতারা। একই চিত্র দেখা যায় নগরীর রেলগেট এলাকায়। ব্যস্ত রাস্তার ধারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করছে ভাজাপোড়া। সেখানেও খোলা অবস্থায় বিক্রি করা হচ্ছে বার্গার, নুডলস, হালিমসহ বিভিন্ন খাবার। জিরোপয়েন্ট এলাকার বড় মসজিদের উত্তরে ব্যস্ত রাস্তার ধারে বিক্রি হচ্ছে সিঙ্গারা, পুরি, বার্গারসহ নানা ভাজাপোড়া।রাস্তার পাশের হোটেল ব্যবসায়ী জনেট জানান, ২৬-২৭ বছর থেকে ব্যবসা করছেন। খাবারের পরিবেশ নিয়ে কেউ কোনো দিন কথা বলেনি। খাবার ঢেকে রাখার দাবি করে বলেন, ‘রাসিকের উচ্ছেদের পর তা আর হয়নি।’ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, ‘আমরা এসব হোটেলের খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হোটেল ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে সচেতন করেছি। তবে সচেতন করার দুই-তিন দিন পর থেকে তারা আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনার আগে আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু করোনার কারণে কাজ করতে পারিনি। তবে শিগগিরই হোটেলগুলোর খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানো হবে।’