গাজীপুর মহানগরীর সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের রাজত্ব চলছে! ব্যাটারিচালিত এসব যান সড়কে বিশৃঙ্খলভাবে চলাচলের কারণে অনেকেই দুর্ঘটনায় পড়ছেন। আবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে তৈরি হচ্ছে এসব গাড়ি। ট্রাফিক আইন ও সিটি করপোরেশনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি দেদার চালিয়ে যাচ্ছেন অটো তৈরির কার্যক্রম। ইতিপূর্বে এসব কারখানা সিলগালা করা হলেও আবার কিছুদিন পর রহস্যজনক কারণে কারখানাগুলো চালু করেন। প্রতিদিন শত শত ব্যাটারিচালিত অটো তৈরি হওয়ার ফলে সড়ক ও মহাসড়ক এখন অটোর দখলে। এসব অটোর কারণে নগরীতে যানজট বেড়ে গেছে। ব্যাটারিচালিত অটো বিশৃঙ্খলভাবে চলাচলের কারণে অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তাছাড়া সড়কে ট্রাক ও বাসের চেয়ে এসব গাড়ির গতি কম থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। অন্যদিকে টঙ্গীর দেওড়া কাঁঠালদিয়া, মন্নু টেক্সটাইল মিলের ভিতরে, গাজীপুরা, পূবাইল, মিরের বাজার, উলুখোলা, বড়বাড়ি, বোর্ডবাজার, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ি, কাশিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি অটো তৈরির কারখানা রয়েছে। এসব কারখানা কর্তৃপক্ষের নেই কারখানা অধিদফতরের অনুমতি, নেই পরিবেশ ছাড়পত্র, নেই সিটির অনুমোদনপত্র। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে তৈরি হচ্ছে এসব গাড়ি। গাজীপুরে কত হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান কারও কাছে নেই। টঙ্গীর ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড সিলমুন এলাকায় অবস্থিত একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল করিম বলেন, গত কয়েক দিন আগে আমার স্ত্রীকে নিয়ে স্টেশন রোড থেকে অটোরিকশা নিয়ে বাসায় আসার উদ্দেশে রওনা হই। চালক রাস্তা ফাঁকা পেয়ে সজোরে চললে পথে গাড়ি উল্টে আমরা দুজনই গুরুতর আহত হই। এসব গাড়ি চলাচলে কোনো শৃঙ্খলা নেই। এ বিষয়ে টঙ্গী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) পীযূষ কুমার দে বলেন, ইজিবাইক ও অটোরিকশা সড়ক ও মহাসড়কে উঠলে আমরা আটকে দিই এবং ব্যাটারি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। যানজট নিরসনে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ইলতুৎমিস বলেন, টঙ্গীতে অটো তৈরির কারখানা রয়েছে এটা আমার জানা নেই। পুলিশের কোনো কর্মকর্তা টাকা পয়সা নিয়ে এসব কারখানা চালু রাখতে সহযোগিতা করবে সেই সুযোগ নেই। গাজীপুরে পুলিশের পক্ষে কোনো অনৈতিক কাজ করার সুযোগ নেই।