মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সাইনবোর্ড ও পোস্টার লাগানোয় স্বেচ্ছাচারিতা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

সাইনবোর্ড ও পোস্টার লাগানোয় স্বেচ্ছাচারিতা

আদর্শ কর তফসিল-২০১৬ অনুযায়ী, নগরে সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের জায়গায় পোস্টার লাগানোর জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। একই সঙ্গে প্রতিটি পোস্টারের বিপরীতে দৈনিক হারে কর প্রদানের বিধানও রয়েছে। এর মধ্যে ৬ বর্গফুটের পোস্টারের জন্য দৈনিক ১০ টাকা এবং ৫ বর্গফুটের জন্য ৭ টাকা নির্ধারণ করা আছে। অথচ চট্টগ্রাম নগরের ৪১টি ওয়ার্ড, দোকান, মার্কেটসহ নানা জায়গায় লাগানো পোস্টারের জন্য অনুমতি নেওয়া হয় না চসিকের।

অভিযোগ আছে, চসিকের অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নগরের মার্কেট, দোকান ও অলিগলি। যত্রতত্র স্থাপিত হচ্ছে এসব প্রচারপত্র। কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সাইনবোর্ডের অনুমতি নিলেও ঠিক থাকে না অনুমিত আকার। আবার একটির অনুমতি নিয়ে লাগানো হয় একাধিক সাইনবোর্ড। এসব অনিয়মের ফলে সৌন্দর্যহানি হচ্ছে নগরের, বাড়ছে জঞ্জাল। রাজস্ব হারাচ্ছে চসিক। তাছাড়া, অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে সাইনবোর্ড লাগানোর কারণে বাড়ছে ঝুঁকি। 

তবে চসিক গত ১৫ নভেম্বর থেকে অবৈধ সাইনবোর্ডসহ নানা স্থাপনার উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে। প্রথম দিনের অভিযানে পাঁচ শতাধিক সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন উচ্ছেদ করা হয়। গত ১৮ নভেম্বরের অভিযানে নগরের  লালখান বাজার মোড় হতে গরীবুল্লাহ শাহ্ (রহ.) মাজার পর্যন্ত ২টি বড় বিলবোর্ড, ১টি যাত্রী ছাউনি, ৮৪টি সাইনবোর্ড, ২৩টি ফেস্টুন অপসারণ করা হয়। চসিকের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘অবৈধ সাইনবোর্ড নগরের সৌন্দর্যহানি করছে। সঙ্গে রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে চসিক। তাই আমরা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছি। ইতিমধ্যে হাজারের বেশি সাইনবোর্ডসহ নানা প্রচার-স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযান অব্যাহত থাকবে। সবকিছুই চলতে হবে নিয়মের মধ্য দিয়ে।’ চসিকের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৫১ হাজার ৯০৪টি ট্রেড লাইসেন্স আছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ব্যানার-ফেস্টুনসহ বিজ্ঞাপন কর হিসেবে চসিকের আয় হয়েছে ১২ লাখ ৯ হাজার ৮০৬ টাকা। শপসাইন খাতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৭ টাকা। সাধারণত ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার সময় শপসাইনের অনুমতি নেওয়া হয়। তাই দৃশ্যত খাতটিতে আয় বেশি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের বিভিন্ন স্থান ও অলিগলিতে অসংখ্য পোস্টার-ব্যানার দেখা যায়। তবে বেশিসংখ্যক সাইনবোর্ড আছে নগরের টেরিবাজার, আন্দরকিল্লা, রেয়াজুদ্দিন বাজার, স্টেশন রোড এলাকা, দেওয়ানহাট, শেখ মুজিব রোড, চৌমুহনি, সিডিএ আবাসিক এলাকা, চকবাজার, হালিশহর, মুরাদপুর, বহদ্দার হাট, জিইসি মোড়, ওয়াসা, ২ নম্বর গেটসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক, ফুটপাথ ও মার্কেটের সামনে।

 

সর্বশেষ খবর