গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি টঙ্গী স্টেশন রোড মাছিমপুর এলাকায় সমবায় কমপ্লেক্স মার্কেটের নিচে একটি কেমিক্যাল গোডাউন থেকে অগ্নিকান্ডের পর এ দাবি ওঠে। এসব কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর নেই কোনো সঠিক অনুমোদন। আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল ব্যবসার অনুমোদন না থাকার পরও অবৈধভাবে ব্যবসা চলছে। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
নগরীর আবাসিক এলাকা ও বিভিন্ন বাসা-বাড়ির রুম ভাড়া নিয়ে কেমিক্যাল গোডাউন বানিয়ে দেদার ব্যবসা করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। দাহ্য এসব পদার্থ নির্দিষ্টস্থান ছাড়া খোলামেলা বিক্রি করার অনুমোদন না থাকলেও নিয়মনীতি মানছেন না তারা। টঙ্গী ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড, মাছিমপুর ও স্টেশনরোড এলাকায় শতাধিক কেমিক্যালের দোকান ও গোডাউন রয়েছে। এ ছাড়া বড়বাড়ি, বোর্ড বাজার, জয়দেবপুর, কোনাবাড়িসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় শত শত গোডাউন রয়েছে। অবৈধ এসব গোডাউন নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া না হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। টঙ্গী সমবায় মার্কেটের কেমিক্যাল ব্যবসায়ী কামাল হোসেন অনেক কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর লাইসেন্স না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন এখানে ব্যবসা করছি কোনো সমস্য হয়নি। আশা করি আগামীতেও হবে না। টঙ্গী সমবায় কমপ্লেক্স মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সাঙ্গুয়া পোশাক কারখানার জি এম মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের কারখানার নিচে ও আশপাশে প্রায় ১০০ কেমিক্যালের দোকান ও গোডাউন রয়েছে। কোনো কারণে যদি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে তাহলে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। আমাদের কারখানা আগামী ফেব্রুয়ারিতে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেন বলেন, সমবায় কমপ্লেক্স মার্কেটে অবস্থিত কেমিক্যালের দোকান ও গোডাউন নিয়ে এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে। কয়েকদিন আগে সেখানে আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, মাছিমপুর হাফিজ উদ্দিন রোডের ওপরে বাসা নিচে আল মদিনা কেমিক্যালের বিশাল গোডাউন। রাতের আঁধারে ওইসব গোডাউনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অ্যাসিড ও বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রণ করে বাজারে বিক্রি করছে।
টঙ্গী ট্রেড লাইসেন্স কর্মকর্তা এমরান হোসেন বলেন, টঙ্গী সমবায় মার্কেটে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের কোনো লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। চকবাজার কেমিক্যাল গোডাউন থেকে অগ্নিকান্ডের পর সিটি করপোরেশন কর্তৃক এসব ব্যবসায়ীকে লাইসেন্স না দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।