মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সরকারি হাসপাতালে খাবারের কষ্ট

আফজাল, টঙ্গী

সরকারি হাসপাতালে খাবারের কষ্ট

গাজীপুরের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করে মেসার্স মিয়া এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পর পর তিনবার একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করছে।  অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবারই টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির লোকজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে একই প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করছে। এ নিয়েও অন্য ঠিকাদারদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। একই প্রতিষ্ঠান বার বার টেন্ডার পাওয়ার কারণে খাবারের মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এতে করে হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা কেউ বাইরে থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন আবার কেউ টাকার অভাবে এই খাবারই খাচ্ছেন। রোগীদের খাবারের কষ্টে ভুগতে হচ্ছে দিনের পর দিন। রোগীদের জন্য একটু ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা দরকার বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, টঙ্গী স্টেশনরোড এলাকায় অবস্থিত ২৫০ শয্যা আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অথচ এখানে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নেই যন্ত্রপাতি। নেই ভালো খাবারের ব্যবস্থা। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালের পাশে গড়ে ওঠা বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একদল দালাল সরকারি হাসপাতালে আসা রোগী নিয়ে করে টানাহেঁছড়া। বিভিন্নভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। টঙ্গীর আশপাশে কোনো সরকারি হাসপাতাল না থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের একমাত্র অবলম্বন এই হাসপাতাল। স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে এখানে আসলেই রেফার করেন অন্য হাসপাতালে। এতে অনেকেই চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া এই হাসপাতালে খাবারের মান খারাপ হওয়ায় অনেকেই বাইরে থেকে খাবার কিনে খান।

হাসপাতালের এক চিকিৎসক ডা. মাসুদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই ভালো বলতে পারবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. পলাশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, খাবারের জন্য বরাদ্দ প্রতিদিন জনপ্রতি ১২৪ টাকা। তার ওপর আবার ১৫% ভ্যাট দিতে হয়। এই টাকায় তিনবেলা ভালো খাবার খাওয়ানো কঠিন। সরকারিভাবে খাবারের জন্য আর্থিক বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত বলে দাবি করেন তিনি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে, ভালো খাবার পরিবেশন করার জন্য। কমিটির লোকজন নিয়ে খাবারের মান পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর