মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

জমি জটিলতায় বাসটার্মিনাল

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

জমি জটিলতায় বাসটার্মিনাল

চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট নিরসনে আধুনিক বাসটার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ জটিলতায় পড়েছে। বছর পার হলেও নগরের কুলগাঁও বালুছড়া এলাকায় জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে আছে বাসটার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি।

গত বছর জানুয়ারিতে প্রায় ১৬ একর জমিতে বাসটার্মিনাল নির্মাণের একটি উন্নয়ন প্রকল্প (ডিপিপি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ১২৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাসটার্মিনালে বরাদ্দ ২৯৭ কোটি টাকা। গত অক্টোবরে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। ৪ সেপ্টেম্বর ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়। এরপর হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রাথমিক সার্ভে করে জায়গাটি নির্ধারণ করেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন ফের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা ও চসিক যৌথ সার্ভে করতে বলে।     

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ বলেন, ‘একনেক অনুমোদন, ভূমি অধিগ্রহণে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রাথমিক সার্ভে শেষে জেলা প্রশাসন বলছে দুই সংস্থার মাধ্যমে যৌথ সার্ভের পর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। ফলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ কাজে ২৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩০ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনে জমা দেওয়া হয়েছে।’ টার্মিনালের ১৬ একরের মধ্যে চসিক অধিগ্রহণ করবে ৮ একর এবং ৮ একর ভূমির মালিক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। টার্মিনাল নির্মাণ ব্যয় ২৯৭ কোটি টাকা।

প্রকল্পটি কয়েক ধাপে বাস্তবায়ন হবে। সবশেষে নির্মাণ করা হবে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। টার্মিনালের মুখে থাকবে চারতলা নান্দনিক ভবন। নিচতলায় থাকবে বাসটার্মিনাল, আন্তঃনগর বাসটার্মিনাল, যাত্রী নামা ও ওঠার লেন, ছাদযুক্ত বৃহদাকার খোলা হলরুম ও তথ্য কেন্দ্র, অত্যাধুনিক পাঁচটি লিফট, একজোড়া চলন্ত সিঁড়ি, তিনটি প্রশস্ত সিঁড়ি এবং প্রতিটি ফ্লোরে পুরুষ-মহিলাদের পৃথক বাথরুম। থাকবে ২২টি টিকিট কাউন্টার, ওয়াইফাই সুবিধাসহ যাত্রীদের বসার জায়গা, লাগেজ কক্ষ, ট্যাক্সি বুকিং বুথ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, খাবার দোকান, ৩০টি কার এবং ট্যাক্সি পার্কিং, ছয়টি পেট্রোল পাম্প, ৬৯টি বাস ডিপো, ১৭টি ওয়ার্কশপ এবং সার্ভিসিং সেন্টার, চারটি সার্ভিসিং লাইন ও আটটি রক্ষণাবেক্ষণ ওয়ার্কশপ লাইন। দ্বিতীয় তলায় থাকবে রেস্তোরাঁ, সভা, এসি বাসযাত্রীদের বসার জায়গা। তৃতীয় তলায় বাস কোম্পানির অফিস, রেস্টুরেন্ট, কমনরুম, টয়লেট।

সর্বশেষ খবর