মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পথের বাধা অপরিকল্পিত স্পিডব্রেকার

নজরুল মৃধা, রংপুর

পথের বাধা অপরিকল্পিত স্পিডব্রেকার

রংপুর নগরীতে অপরিকল্পিত স্পিডব্রেকার চলাচলের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িছে। নগরীর প্রধান সড়ক ছাড়াও পাড়া-মহল্লার সড়কগুলোতে কিছুদূর পরপর স্পিডব্রেকারের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়ক বিভাগ বলছে, নতুন করে কোনো স্পিডব্রেকার নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ঠিকাদাররা বলছেন, স্থানীয় জনগণ রাস্তার কাজ করার সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে স্পিডব্রেকার তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন।

নগরবাসীর অভিযোগ, স্পিডব্রেকারের কারণে প্রায়ই  মোটরসাইকেল আরোহীরা দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছেন। যত্রতত্র স্পিডব্রেকার দেওয়ার কারণে অটোরিকশা ও রিকশা চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্পিডব্রেকারের কারণে সাধারণ যাত্রীরাও আহত হচ্ছেন।

নগরীর কামালকাছনা, শালবন, বাবুখাঁ, বাবুপাড়া, সেনপাড়া, মুন্সিপাড়া, পাটবাড়ি, ম-লপাড়া, রবার্টসনগঞ্জ, জুম্মাপাড়া, আশরতপুর, পার্কের মোড়, আলমনগর, মুলাটলসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন মোড়ের দুই পাশে দেওয়া হয়ে স্পিডব্রেকার। কোথাও একটি দোকান গড়ে ওঠেছে সেখানেও স্পিডব্রেকার দেওয়া হয়েছে। আবার রাস্তার পাশে বাড়ি আছে, তিনিও স্পিডব্রেকার দিয়ে রেখেছেন। অনেকটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে স্পিডব্রেকার দেওয়ার।

‘নিরাপদ সড়ক চাই’য়ের রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম হায়দার সাজ্জাদ স্বাধীন জানান, স্পিডব্রেকারগুলো এমনভাবে দেওয়া হয়েছে, যানবাহন চলাচলে নানাভাবে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে। কোথাও স্পিডব্রেকার দিতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। রংপুর নগরীতে খেয়াল-খুশিমতো স্পিডব্রেকার দেওয়া হচ্ছে। এখনই এ প্রতিযোগিতা বন্ধ করা না গেলে দুর্ঘটনা বেড়েই চলবে।  ঠিকাদার লিটন পারভেজ জানান, রাস্তা সংস্কারের কাজ করতে গেলেই স্থানীয় কিছু লোক স্পিডব্রেকার তৈরির দাবি করেন। ওদের দাবি না মানলে কাজ করতে বাধা  দেন। তাই বাধ্য হয়েই এটা করে দেওয়া হয়। আমরা না দিলে তা নিজেরা পরে করে নেয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, সওজ থেকে স্পিডব্রেকার নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয় না।

সর্বশেষ খবর