মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

উন্নয়নে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট

আফজাল, টঙ্গী

উন্নয়নে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট

দৃষ্টিনন্দন আরসিসি ড্রেন, রাস্তা এবং সড়ক বাতিতে আলোকিত হচ্ছে গাজীপুর। ৩২৯ বর্গকিলোমিটারের সিটি করপোরেশন এলাকাকে ৫৭টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ১৯২টি মৌজার সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক এলাকা নিয়ে (জিসিসি) গঠিত। এসব এলাকায় রয়েছে আবাসিক বাড়ি, শত শত শিল্প কলকারখানা। ফলে গাজীপুর সিটির প্রতিটি রাস্তায় দৈনন্দিন শত শত ভারী যানবাহন যেমন চলাচল করছে তেমনি প্রতিনিয়তই রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের সর্ববৃহৎ গাজীপুর সিটির নির্বাচিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র আড়াই বছরের মাথায় নাগরিক সুবিধা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দে পুরো সিটি করপোরেশন এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে যেতে শুরু করেছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নগরজুড়ে আরসিসি ড্রেন, ২০ ফিট থেকে ৪০ ফিটের রাস্তা নির্মাণসহ নাগরিক সুবিধা ও অবকাঠামো উন্নয়নে চমক দেখতে শুরু করেছে নগরবাসী। বেশ কিছু এলাকার রাস্তার কাজ এখনো শুরু না হলেও তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আবার অনেকেই রাস্তার জায়গা দিতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব রাস্তা প্রশস্ত করতে গিয়ে শতাধিক মামলার মুখোমুখি হয়েছেন মেয়র। টঙ্গীর স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল আহাম্মেদ সজীব বলেন, টঙ্গীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, টঙ্গী স্টেশনরোড এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন। সেই জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে। এটি শেষ হলে টঙ্গীর বড় একটি সমস্যার সমাধান হবে। অপর এক বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অনেকেই মেয়রের বিরুদ্ধে কথা বলি। বৃহত্তর এই সিটি করপোরেশনের নানা সমস্যা সমাধানে সময় লাগবে। মেয়রকে সময় দিতে হবে। তবে যেভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণ হচ্ছে মেয়র জাহাঙ্গীরকে মনে রাখবে নগরবাসী।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করতে গিয়ে নানা রকম বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এমনকি আমার বিরুদ্ধে অনেকেই মামলা করেছেন। রাস্তা বড় হলে ওই রাস্তা দিয়ে সবাই চলাচল করবে, জীবন যাত্রার মান পাল্টে যাবে। অথচ কেউ রাস্তার জন্য জায়গা দিতে চান না। শত শত বহুতল বাড়ির মালিক প্ল্যানবহির্ভূত এবং রাস্তার জায়গা না ছেড়ে বাড়ি করেছেন। এখন ওই সব এলাকায় বাড়িঘর ভেঙে রাস্তা করতে হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে টঙ্গী এলাকায়। কেউ জায়গা ছাড়তে রাজি নন। পরিকল্পিত নগর গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সর্বশেষ খবর