মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

বর্ষা এলেই বাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের শঙ্কা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বর্ষা এলেই বাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের শঙ্কা

চট্টগ্রাম নগরে সরকারি-বেসরকারি অতিঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় আছে ১৭টি। এসব পাহাড়ের পাদদেশেই বাস করে ১ হাজার ২৩৫টি পরিবার। প্রতিটি পরিবারে অন্তত গড়ে চারজন করে সদস্য থাকলেও ১৭টি পাহাড়ে অবৈধভাবে থাকছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে আছে শিশু ও বৃদ্ধও। জানা যায়, প্রতি বছরই বর্ষার আগে এসব পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান চলে। গত বছরের ২৪ জুন একদিনেই চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ৩৫০ স্থাপনা উচ্ছেদ, ১০ জনকে জেল এবং বিদ্যুতের ৩০টি মিটার জব্দ করে। কিন্তু অভিযানের পরই তারা আবারও ফিরে আসে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে। গত ১০ বছরে প্রতিবারই উদ্যোগ নিয়েও পাহাড় থেকে বাসিন্দাদের পুরোপুরি সরানো যায়নি। 

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের বাসিন্দাদের প্রতিবছরই উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু পরে তারা আবারও ফিরে আসে। বিষয়টি চিন্তার। তবে এ ব্যাপারে পাহাড়ের মালিকদের দায়িত্বশীল হতে হবে। না হয় কেবল অভিযানের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে তাদের সরানো সম্ভব নয়।       

জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বাস করেন অসহায়, গরিব, খেটে খাওয়া মানুষ। স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে পাহাড় কেটে তৈরি করে অস্থায়ী বাসা। সেখানে নামমাত্র টাকার ভাড়ায় পাহাড়ের পাদদেশে থাকে তারা। প্রশাসন প্রতি বছরই ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশের অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা নির্ধারণ করছে। তবে পাহাড় খেকোরা অধরাই থেকে যাচ্ছে।

পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর সূত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধভাবে বাস করা পাহাড়ের মধ্যে আছে, বায়েজিদ-ফৌজদার হাট লিংক রোড সংলগ্ন পাহাড়ে ৪০০টি পরিবার, আকবরশাহ আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড়ে ২৮টি পরিবার, লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড়ে ২২টি পরিবার, পূর্ব ফিরোজ শাহ ১ নম্বর ঝিল সংলগ্ন পাহাড়ে ২৮টি পরিবার, মধুশাহ্ পাহাড়ে ৩৪টি পরিবার, পলিটেকনিক কলেজ সংলগ্ন পাহাড়ে ৪৩টি পরিবার, কৈবল্যধামস্থ বিশ্ব কলোনির পাহাড়ে ২৮টি পরিবার, একে খান অ্যান্ড কোং পাহাড়ে ২৬টি পরিবার, হারুন খান পাহাড়ে ৩৩টি পরিবার, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট সংলগ্ন পাহাড়ে  ৩৩৪টি পরিবার, মতিঝরনা ও বাটালিহিল সংলগ্ন পাহাড়ে ১৬২টি পরিবার, মিয়ার পাহাড়ে ৩২টি পরিবার, ভেড়া ফকিরের পাহাড়ে ১১টি পরিবার এবং আমিন কলোনি সংলগ্ন ট্যাংকির পাহাড়ে ১৬টি পরিবার।

সর্বশেষ খবর