মঙ্গলবার, ৮ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

এক অ্যাপসে ২৪ সেবা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

এক অ্যাপসে ২৪ সেবা

রাজশাহী সিটি করপোরেশন তার নাগরিকদের অনলাইনে সেবা দিতে চালু করেছে অ্যাপস। ‘স্মার্ট রাজশাহী’ নামে চালু হওয়া ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপসে এখন থেকে নিবন্ধন করে পাওয়া যাবে ২৪ ধরনের সেবা। সম্প্রতি এই অ্যাপসের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনটি প্ল্যাটফরমে ‘স্মার্ট রাজশাহী’ ব্যবহার করে সিটি করপোরেশনের সেবাগুলো পাবেন নাগরিকরা। তা হলো, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস। এর মাধ্যমে নাগরিক সেবার উন্নয়ন ঘটবে বলে মনে করছেন মেয়র।

স্মার্ট রাজশাহী অ্যাপসে থাকছে সিটি করপোরেশন সচিবালয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশল, রাজস্ব ও স্বাস্থ্য বিভাগে অনলাইনে প্রবেশের সুবিধা। এসব বিভাগের সংশ্লিষ্ট সেবাসমূহ যেমন-বিরোধ নিষ্পত্তি, বিবাহ বিচ্ছেদ, আর্থিক সহযোগিতা, নাগরিক সনদপত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র, বিবিধ সনদপত্র, সিটি করপোরেশনের স্থান ভাড়া, ইজারা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিয়ন্ত্রণ, ঠিকাদার লাইসেন্স নবায়ন, তালিকাভুক্ত ভূমি ব্যবহার অসম্মতি, ট্রেড লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, রাজস্ব সংগ্রহ, নেম সেপারেশন, হোল্ডিং ট্যাক্স, হোল্ডিং ট্যাক্স রিভিউ, হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্নির্ধারণ, প্রেমেসিস নিবন্ধন, পরিবেশদূষণ প্রতিরোধ, পোষা প্রাণীর লাইসেন্স, মেডিকেল রেজিস্ট্রেশন সেবার জন্য নাগরিকরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সেবার নির্ধারিত মূল্য জমা, সেবার অগ্রগতি যাচাই করার পাশাপাশি চূড়ান্ত সেবাও অনলাইনে পাওয়া যাবে।

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নাগরিক সেবার জন্য একজন নাগরিকের নিবন্ধন করতে হবে। এই নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। একবার নিবন্ধন করেই নাগরিকরা শুধু লগইন করে পরবর্তীতেও ভিন্ন ভিন্ন সেবা নিতে পারবেন।

সেবা পেতে সেবার নির্দিষ্ট মূল্য দুভাবে পরিশোধ করা যাবে। অনলাইনে বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে ঘরে বসেই মূল্য পরিশোধ করা যাবে। আবার দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করে পেমেন্ট স্লিপটি ছবি তুলে বা স্ক্যান করে আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে। সেবা মূল্য জমা হলে অনলাইন প্ল্যাটফরমের ভিতর দিয়েই আবেদনগুলো সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে পর্যায়ক্রমে পৌঁছাবে। তাদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর নাগরিক সেবার জন্য চূড়ান্তভাবে বিবেচিত হলে তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেবাটি তার প্যানেল থেকেই নিতে পারবেন। বিভিন্ন সনদ, লাইসেন্স, অনুমতিপত্র, বরাদ্দ প্রভৃতির ডিজিটাল ভার্সন নাগরিকরা সিস্টেম থেকে ডাউনলোড ও প্রিন্ট নিতে পারবেন।

মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, করোনা পরিস্থিতি আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে প্রযুক্তি কতটা জরুরি। ডিজিটাল এই পদ্ধতির মাধ্যমে এখন নাগরিকরা ঘরে বসেই তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবেন। কেউ হয়রানির শিকার হচ্ছেন কিনা-সেটাও ধরা পড়বে। আমরা মূলত নাগরিকদের দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে কাজ করছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর