মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংকটে চসিক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংকটে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে স্থান সংকটে ভুগছে। চট্টগ্রাম মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডে যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদন হয়, তা অপসারণ করে ব্যবস্থাপনা করার মতো প্রয়োজনীয় জায়গা না থাকায় তৈরি হচ্ছে এ সংকট। ফলে বাতাসে উড়ে শুকনা বর্জ্য, বিষাক্ত করে বাতাস, অসুস্থ করে পরিবেশ। চট্টগ্রাম মহানগরে দৈনিক গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এসব বর্জ্য অপসারণ করে প্রথমে সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন স্টেশনে (এসটিএস) নেওয়া হয়। নগরের পতেঙ্গা, পোর্ট মার্কেট, সাগরিকা, বরিশাল কলোনি, এফআইডিসি সড়কে পাটি এসটিএস রয়েছে। এসটিএস থেকে ডাম্পিং ট্রাকের মাধ্যমে অপসারণ করে ল্যান্ডফিল্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে নগরীর আরেফিন নগর ও হালিশহরে দুটি ল্যান্ডফিল্ড রয়েছে চসিকের। তবে বর্জ্যগুলো ব্যবস্থাপনা করার মতো কোনো উদ্যোগ নেই চসিকের। বর্তমানে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ৩ হাজার ৪৪৫ জন কর্মী আছে। এর মধ্যে স্থায়ী মাত্র ৭০০ জন, বাকিরা ক্যাজুয়াল ভিত্তিতে কাজ করছেন। এ ছাড়া ডোর টু ডোর প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ দেওয়া হয় ১ হাজার ৭৫০ জনকে। চসিকের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে নগরে যে পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ করা হয়, সেগুলো বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিতে ব্যবস্থাপনা করার মতো আমাদের জায়গা নেই। জায়গা সংকটের কারণে আমরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নিতে পারছি না। কিন্তু ময়লাগুলো তো নানাভাবে পরিবেশ-প্রতিবেশকে ক্ষতি করছে। তাই এ ক্ষেত্রে আমরা দুটি উপায় চিন্তা করতে পারি।

প্রথমত বর্জ্যরে পরিমাণ কমানো এবং বর্জ্য থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা। এ ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করব। অভিযোগ রয়েছে, চসিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগরের বর্জ্যগুলো নিয়মিত সংগ্রহ করার কথা। কিন্তু অনেক সময় সে সব বর্জ্য তারা অপসারণ করেন না। আবার আবাসিক এলাকা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করলেও পরে তা ডাস্টবিনে ফেলে রাখা হয়। এসব আবর্জনাগুলো আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। শুকনা বর্জ্যগুলো বাতাসে উড়ে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ার কারণে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

সর্বশেষ খবর